অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
আগামী দু’বছরের মধ্যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে দেশের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিশ্ছিদ্র করে ফেলা হবে বলে ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ হাজারিবাগে বিএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পশ্চিম প্রান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে ২২৯০ কিলোমিটার ও পূর্বে বাংলাদেশের সঙ্গে ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ভারতের। আজ শাহ বলেন, “২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরে প্রায় ৫৬০ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষিত করা হয়েছে। বাকি রয়েছে আরও ৬০ কিলোমিটার। আগামী দু’বছরের মধ্যে তা করে ফেলা হবে।” মূলত ওই ৬০ কিলোমিটার সীমান্তের একটি বড় অংশ নদীবর্তী সীমানা। সময়ে সময়ে নদী গতিপথ পাল্টানোয় ওই সীমান্তে পাহারা দেওয়ার কাজ বেশ কঠিন বলে জানিয়েছেন শাহ। তিনি বলেন, “নদীজনিত সমস্যা, জলাভূমি ছাড়াও পশ্চিমে পাহাড়ের উপর দিয়ে সীমান্ত গিয়েছে। সে কারণে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো কঠিন। যেখানে একদমই বেড়া দেওয়া সম্ভব নয় সেখানে অনুপ্রবেশ রুখতে অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছে বিএসএফ।” তিনি দাবি করেন, গত দশ বছরে সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। মোদী সরকারের আমলে ৪৫২টি নতুন বর্ডার পোস্ট, ৫১০টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, ৬৩৭টি বর্ডার পোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়েছে। ৫০০টি বর্ডার পোস্টে পাইপের মাধ্যমে পানীয় জল
পৌঁছে দেওয়ারও কাজও শেষ করা সম্ভব হয়েছে।
পাশাপাশি মাওবাদী সমস্যা দমনের প্রশ্নে মোদী সরকার উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে বলেও এ দিন দাবি করেন শাহ। তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে মাওবাদী হামলার সংখ্যা ৫২ শতাংশ কমে এসেছে। মাওবাদী হামলার নিহতদের সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমেছে। অতীতে যেখানে পুলিশ স্টেশনে হামলার সংখ্যা ৪৯৫ ছিল, এখন তা কমে হয়েছে ১৭৬। উল্টো দিকে মাওবাদীরা ক্রমশ পিছু হটে যাওয়ায় তাদের প্রভাবিত এলাকায় ১৯৯টি নিরাপত্তা শিবির খোলা হয়েছে। শাহের দাবি, মাওবাদীদের একেবারে নিকেশ করতে চূড়ান্ত হামলার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে বিএসএফ, সিআরপিএফ, আইটিবিপি-র মতো আধাসামরিক বাহিনীগুলি। খুব দ্রুত এই হামলা চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে।