(বাঁ দিকে) রাহুল গান্ধী এবং অমিত শাহ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
আরও এক বার রাহুল গান্ধীর ‘ঔদ্ধত্য’ নিয়ে সরব হলেন অমিত শাহ। রবিবার মহারাষ্ট্রের পুণেতে বিজেপির রাজ্য সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, চলতি বছরের শেষের দিকে তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে রাহুলের দম্ভ ভাঙবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, শনিবার রাঁচীতে দলীয় কর্মীদের সভাতেও রাহুলের ‘ঔদ্ধত্য’ নিয়ে সরব হয়েছিলেন শাহ।
রবিবার পুণেতে শাহ বলেন, “মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং হরিয়ানার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হওয়ার পর রাহুলের ঔদ্ধত্য ভেঙে যাবে।” প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষের দিকে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং হরিয়ানা— এই তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। লোকসভার আসন সংখ্যার নিরিখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য মহারাষ্ট্রে বর্তমানে এনডিএ ক্ষমতায় রয়েছে। হরিয়ানায় একক ভাবে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আর ঝাড়খণ্ডের মসনদে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। তবে লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর উজ্জীবিত বিরোধী শিবিরের দাবি, ঝাড়খণ্ড তো বটেই, বাকি দুই রাজ্যেও বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসবে ‘ইন্ডিয়া’।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে দলের কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করতেই জয় নিয়ে প্রত্যয়ের কথা শোনাচ্ছেন শাহ। রবিবার যেমন মহারাষ্ট্রে দাঁড়িয়ে শাহ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা আরও কঠিন পরিশ্রম করব এবং আমাদের জন্য নতুন লক্ষ্য স্থির করব।” সভা থেকে শরদ পওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরের উদ্দেশেও আক্রমণ শানান তিনি।
রাহুলের ঔদ্ধত্য নিয়ে শাহি আক্রমণ অবশ্য রবিবারই প্রথম নয়। শনিবারই রাঁচীতে দাঁড়িয়ে রাহুলকে তোপ দেগে শাহ বলেছিলেন, “রাহুল গান্ধী সংসদে যে আচরণ করেছেন, তা দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জেতার পরেও অনেকে করেন না। তা হলে এই ঔদ্ধত্য কেন?” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “পরপর তিন বার হারের পরেও ওঁর (রাহুল) এত ঔদ্ধত্য কেন?”