নরেন্দ্র মোদীর ছাড়পত্র পেয়ে ভারত সফরে আসছেন তাইওয়ানের মন্ত্রী। ফাইল চিত্র।
চিনের আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে এ বার তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে সক্রিয় হল নয়াদিল্লি। চলতি সপ্তাহেই তাইওয়ানের ৭০ জনেরও বেশি শিল্পপতিকে নিয়ে ভারত সফরে আসছেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী চেরন চই চেন। দ্বিপাক্ষিক আর্থিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক কূটনীতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে সাউথ ব্লকের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
চিনের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হতে পারে, এই আশঙ্কাতেই তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির পথে হাঁটেনি ভারত। কিন্তু ২০২০ সালে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সঙ্ঘাতের জেরে বিষয়টি নিয়ে অবস্থান বদলে সক্রিয় হয় নয়াদিল্লি। ঘটনাচক্রে সে বছরই তাইওয়ানের তিনটি বেসরকারি সফটওয়্যার প্রযুক্তি সংস্থাকে ভারতে লগ্নির জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এ বার তাইওয়ানের অর্থমন্ত্রীর সফরে সে দেশের আরও লগ্নি ভারতে আসার পথ তৈরি হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
তাইওয়ান রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য নয়। পৃথক রাষ্ট্র হিসাবে ওই দ্বীপকে স্বীকৃতিও দেয় না নয়াদিল্লি। ফলে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে অসুবিধা রয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার পথে তা বাধা হবে না বলেই মনে করে বিদেশ মন্ত্রক। সে ক্ষেত্রে চিনের চাপ ফের বাড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে তাইওয়ানের পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফরে এসেছিল। তার প্রতিবাদ জানিয়ে বেজিং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, ‘আগুন নিয়ে খেলছে ভারত’। এ বারও চিনের তরফে ‘কড়া প্রতিক্রিয়া’ মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।