National News

‘শবরীমালায় ঢুকবই’! বেস ক্যাম্পে ১১ মহিলা, পাল্টা প্রতিরোধে আয়াপ্পার ‘ভক্তরা’

‘মণিথী’র কো-অর্ডিনেটর সেলভি বলেন, ‘‘দলের সবাই প্রকৃত উপাসক। তাঁরা সব রীতি-নীতি, আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। দলের বেশিরভাগ মহিলারই বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে। আমরা যেহেতু বড় দল, তাই আশা করি সবরিমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারব।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মাদুরাই শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:৫০
Share:

সবরিমালা মন্দিরের বেসক্যাম্পে মহিলারা। ছবি: এএনআই-এর টুইটারের সৌজন্যে

ঋতুমতী মহিলাদের মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা, অন্য দিকে তাঁদের বাধা দিতে জমায়েত ঘিরে ফের উত্তেজনা শবরীমালায়। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের ১১ জন মহিলা মন্দিরে প্রবেশের জন্য রবিবার সকালেই পেম্বা বেস ক্যাম্পে পৌঁছে গিয়েছেন। স্বামী আয়াপ্পার ‘দর্শন’ ছাড়া ফিরবেন না বলে নাছোড় তাঁরা। ঘুরপথে অন্য একটি দলও মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টায় রয়েছে। মন্দির, বেস ক্যাম্প-সহ গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

Advertisement

‘মণিথি’ নামে চেন্নাইয়ের একটি নারীবাদী সংগঠনের সদস্যরা সবরিমালা অভিযান শুরু করেছেন মাদুরাই থেকে। দলে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল ও ওড়িশার মোট ৫০ জন প্রতিনিধি। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাঁরা শবরীমালার পথ ধরেছেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জনের একটি দল এ দিন সকালে পেম্বা বেস ক্যাম্পে পৌঁছেছেন। ওই ১১ জনের মধ্যে ছ’জন মন্দিরে প্রবেশ করবেন বলে জানানো হয়েছে। বাকি পাঁচ জন ওই ছ’জনের নিরাপত্তা এবং উৎসাহ দিতে দলে শামিল হয়েছেন। মাদুরাই থেকেই তাঁদের কর্ডন করে পেম্বা বেস ক্যাম্পে নিয়ে যায় পুলিশ। আজ রবিবার তাঁরা পাহাড়ি চড়াই পেরিয়ে মন্দিরে পৌঁছবেন এবং ‘দর্শন’ করবেন।

‘মণিথী’র কো-অর্ডিনেটর সেলভি বলেন, ‘‘দলের সবাই প্রকৃত উপাসক। তাঁরা সব রীতি-নীতি, আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। দলের বেশিরভাগ মহিলারই বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে। আমরা যেহেতু বড় দল, তাই আশা করি শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারব।”

Advertisement

আরও পড়ুন: কন্যাশ্রীর ভরসায় রুখেছিলেন বিয়ে, এখন আতান্তরে পুরুলিয়ার অষ্টমী

আরও পড়ুন: ভোটের চাপে জিএসটি-তে ছাড়, কোপ ৫৫০০ কোটির

ওই ১১ জনের পাশাপাশি সংগঠনের মহিলাদের অন্য একটি দলও বেস ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছেছেন। তবে তাঁরা অন্য দিক দিয়ে ঘুর পথে সবরিমালায় উঠবেন বলে জানা গিয়েছে। দলের এক সদস্য দাবি করেন, “আমরা কৌশলগত ভাবে এগোচ্ছি। সবাই আয়াপ্পার দর্শনের আগের সমস্ত আচার অনুষ্ঠান পালন করেছি। পুলিশ প্রশাসনের উচিত আমাদের সব রকম নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা।

অন্য দিকে আয়াপ্পার ‘ভক্ত’রাও পেম্বা বেস ক্যাম্পের কাছেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করছেন। তাঁদের স্পষ্ট ঘোষণা, ওই মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে।

পশ্চিম ঘাট পর্বতমালায় অবস্থিত শবরীমালা মন্দির। আরাধ্য দেবতা আয়াপ্পা স্বামী। ঋতুমতী অর্থাৎ ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল বহু প্রাচীন কাল থেকেই। এমনকি, ভিতরে ঢুকতে গেলে বয়সের প্রমাণপত্রও দেখাতে হত মন্দির কর্তৃপক্ষকে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট সব বয়সী মহিলাদের জন্যই মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। যদিও সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ফের মামলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কার্যত মহিলাদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বহু মহিলাই মন্দিরে প্রবেশের জন্য গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে তথাকথিত আয়াপ্পা স্বামীর ভক্তদের বাধায়।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement