Jharkhand Political Crisis

সরকার গড়তে রাজ্যপালের আমন্ত্রণ পেলেন না চম্পই! বিজেপির থেকে ‘বাঁচতে’ বিধায়কেরা হায়দরাবাদে?

জেএমএন নেতা চম্পই সোরেন বৃহস্পতিবার রাতে আবার গিয়েছিলেন রাজভবনে। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও সূত্রের খবর রাজ্যপালের তরফে কোনও আশ্বাস মেলেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:০৯
Share:

চম্পই সোরেন। ছবি: পিটিআই।

বুধবার রাতে গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে হেমন্ত সোরেনের ইস্তফার পরে রাজভবনে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থনপত্র নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা ছুঁতে চলল জেএমএন-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআইএমএল লিবারেশন জোটের নেতা চম্পই সোরেনের কাছে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের থেকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ এল না।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে জেএমএন নেতা চম্পই বৃহস্পতির রাতে আবার গিয়েছিলেন রাজভবনে। সঙ্গে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের কয়েক জন বিধায়কও। কিন্তু সূত্রের খবর রাজ্যপালের তরফে কোনও আশ্বাস মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের বিধায়কদের দু’টি চার্টার্ড বিমানে কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের রিসর্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বৃহস্পতির রাতে।

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করে বেরোনোর সময় চম্পই বলেন, ‘‘আমরা ৪৩ জন বিধায়ক ঐক্যবদ্ধ। আমরা রাঁচীর সরকারি গেস্ট হাউসে রয়েছি।’’ তবে ‘সরকার সমর্থক’ বাকি চার জন বিধায়ক কোথায়, তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চম্পইয়ের সঙ্গে ছিলেন না কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা আলমগির আলম, আরজেডির সত্যানন্দ ভোক্তা এবং সিপিআইএমএল লিবারেশনের বিনোদ সিংহ এবং দলত্যাগী জেভিএম (বর্তমানে কংগ্রেস) বিধায়ক প্রদীপ যাদব।

Advertisement

ঝাড়খণ্ডের বিজেপি-বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাই এখন অতীতে উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল, কর্নাটক কিংবা হালফিলের মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো ‘বিধায়ক কেনাবেচা’ করে সরকার বদলের আশঙ্কা করছেন। বিরোধীদের একাংশের আশঙ্কা, বিধায়ক কেনাবেচার ‘সময়’ করে দিতেই চম্পইকে সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানাতে দেরি করা হচ্ছে। সেই আশঙ্কাকে আরও দৃঢ় করেছে, ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণণের ‘রাজনৈতিক অতীত’। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement