—ফাইল চিত্র
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়বে কে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তুঙ্গে। ক্রমশ তীব্র হচ্ছে বিজেপি ও শিবসেনার দ্বন্দ্বও। কিন্তু, রাজ্যের এ সব রাজনৈতিক টানাপড়েন থেকে আপাতত অনেকটাই দূরে রয়েছেন সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়করা। তাঁরা ‘ছুটি’ কাটাচ্ছেন রাজস্থানে।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ৪৪টি আসন দখল করেছে কংগ্রেস। তার মধ্যে ৪০ বিধায়কই দল বেঁধে গত শুক্রবার থেকে রাজস্থানের নানা জায়গা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রবিবার তাঁরা পৌঁছন জয়পুরে। সেখানকার নানা ঐতিহাসিক স্থান দেখার পর তাঁরা রওনা দেন যোধপুরের পুষ্কর মেলা এবং অজমেঢ় শরিফ দরগা ঘুরে দেখতে। আরব সাগরের পাড়ে যখন এমন টালমাটাল পরিস্থিতি, তখন রাজনীতির বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে গিয়ে মরুরাজ্যে কেন ছুটি কাটানোয় মশগুল কংগ্রেস নেতারা?
মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে বিজেপি ও তার শরিক শিবসেনার দড়ি টানাটানি ক্রমশই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এর মাঝেই বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলে রাজ্য রাজনীতির পারদ আরও চড়িয়ে দিয়েছে শিবসেনা। এমন অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। কর্নাটকে কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস ও জেডিএস সরকারের বিরুদ্ধে এই একই কায়দায় ‘ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ উঠেছিল বি এস ইয়েদুরাপ্পাদের বিরুদ্ধে। তাই ঘর বাঁচাতে শিবসেনা বিধায়কদের মুম্বই থেকে খানিকটা দূরে, মালাডের একটি রিসর্টে রেখে দিয়েছে শিবসেনা। কর্নাটকের উদাহরণকে সামনে রেখে ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে কংগ্রেসও। তাই শিবসেনার মতো কৌশল নিয়েছে তারাও। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রের রাজনীতির ‘আঁচ’ থেকে দলীয় বিধায়কদের সরিয়ে রাখতে চায় কংগ্রেস শিবির। তাই মহারাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে সদলবলে মরুরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন সদ্য বিধায়করা। সেই সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্তরের নেতাদের নজরদারিও। দলীয় বিধায়কদের গতিবিধির উপর কড়া নজর রেখেছেন মল্লিকার্জুন খড়্গে, অশোক চহ্বণের মতো নেতারা। রবিবার জয়পুরে গিয়ে তঁদের সঙ্গে বৈঠকও করেন মল্লিকার্জুন।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সেনা-বিজেপি দ্বন্দ্বে নয়া মোড়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে শিবসেনার ইস্তফা
আরও পড়ুন: ‘সর্বনাশা পদক্ষেপ’, সেনার সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে দলকে সতর্কবার্তা কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপমের
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার জন্য বিকল্প কী হতে পারে, তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছে কংগ্রেস। তাই আরব সাগরের পাড়ে পরিস্থিতি ‘শান্ত’ হলে বিধায়কদের ঘরে ফেরানোর ভাবনা রয়েছে দলের। মনে করা হচ্ছে, আজই নিজের রাজ্যে ফেরানো হতে পারে তাঁদের।