লকডাউন চললেও জরুরি পণ্য কেনাকাটার জন্য প্রতিদিন ৪ ঘণ্টার ছাড় দিয়েছিল তেলঙ্গানা সরকার।
লকডাউনের মধ্যেই দূরত্ববিধি ভুলে চলল দেদার ইদের কেনাকাটা। শুক্রবার ইদ-উল-ফিতর। তার ২৪ ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার সকালে হাজার দশেক মানুষ ভিড় করলেন হায়দরাবাদের চার মিনার চত্বরে। দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে যখন সুপার স্প্রেডার ইভেন্টগুলিকে দায়ী করা হচ্ছে, তখন হায়দরবাদের এই জমায়েত উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের।
বুধবার থেকেই ১০ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে তেলঙ্গানা। তবে লকডাউন চললেও জরুরি পণ্য কেনাকাটার জন্য প্রতিদিন ৪ ঘণ্টার ছাড় দিয়েছিল তেলঙ্গানা সরকার। সকাল ৬টা থেকে ১০টার সেই ছাড়ের সময়েই বৃহস্পতিবার ইদের কেনাকাটা করতে পথে নামেন হায়দরাবাদের জনতা। হায়দরাবাদের চার মিনার চত্বরে মদিনা বাজারে জমে বিপুল ভিড়। যার অর্ধেকর মুখেই মাস্ক ছিল না বলে দেখা যাচ্ছে ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো ফুটেজে।
তেলঙ্গানায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার ছুঁইছুঁই। দৈনিক সংক্রমণের হারও ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে সংক্রমণে রাশ টানতেই ১০ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। ইদ উপলক্ষে জনসমাগম বাড়তে পারে ভেবে মসজিদে গিয়ে নমাজ পড়ার ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছিল নিয়ন্ত্রণ বিধি। বাড়িতে থেকেই প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছিল তেলঙ্গানা সরকার। সেইসঙ্গে জানিয়েছিল মসজিদে একসঙ্গে চার জনের বেশি প্রবেশ করতে বা নমাজ পড়তে পারবেন না। এমনকি প্রকাশ্যে জমায়েতও নিষিদ্ধ করেছিল প্রশাসন।
কিন্তু সেই সব সুরক্ষাবিধির পরোয়া না করে বৃহস্পতিবারের এই জমায়েত চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। গত এক সপ্তাহে হায়দরাবাদে সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছিল। আশঙ্কা ইদের পর তা ফের বাড়তে পারে।