Peoples representation Act 1951

অপরাধী সরকারি কর্মী চাকরি হারান, কেন ভোটে লড়বেন দাগি নেতারা? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের কমিটির

১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আইনের ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও সাংসদ-বিধায়ক মুক্তির পর ছ’বছর পর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৭
Share:

ছ’বছরের নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ট নয়। ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা পাওয়া সাংসদ-বিধায়কদের মুক্তির পরে ভোটে লড়ার উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বৃদ্ধির প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত আদালত বান্ধব বিজয় হংসরিয়া তাঁর রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছেন শীর্ষ আদালতকে।

Advertisement

রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘‘এক জন সরকারি কর্মী ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে গেলে স্থায়ী ভাবে চা়করি থেকে বিতাড়িত হন। এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে সাজার মেয়াদ শেষের ছ’বছরের মধ্যেই আবার ভোটে লড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।’’ আদালত বান্ধবের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এ বিষয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির পাশাপাশি, প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলির মত জানতে চাওয়া হতে পারে বলে বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে।

১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি সাজা ঘোষণার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারাবেন। এবং মুক্তির পর ছ’বছর পর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। অন্য দিকে, ১৯৫১ সালেরই ‘সর্বভারতীয় সরকারি কর্মচারি আইন’ জানাচ্ছে, দোষী সাব্যস্ত বলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীও স্থায়ী ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হবেন। হংসরিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই শ্রেণির অপরাধীদের ক্ষেত্রে দু’রকমের নিয়ম সাম্যের অধিকারের পরিপন্থী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement