ফাইল চিত্র।
ঠান্ডা যুদ্ধের যুযুধান দুই পক্ষ আজ একই দিনে দিল্লিতে! দু’পক্ষই আলাদা করে বৈঠক করল ভারতের সঙ্গে। এদের একই সঙ্গে ভারতে ছুটে আসার কারণ, আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতা দখলের পরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি। বিশেষত নিষিদ্ধ জঙ্গিদের হাতে মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পরে একই সঙ্গে নড়ে বসেছে আমেরিকা এবং রাশিয়া।
বুধবার নয়াদিল্লিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেন আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস ও রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভ। সূত্রের খবর, উভয় বৈঠকেই নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। পাকিস্তান যে এর পরে সীমান্ত সন্ত্রাস পাচারের লঞ্চপ্যাড হিসাবে হক্কানি নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করবে, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। পরে পাত্রুশেভ নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন।
আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার ঠিক আগে মস্কো গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সফরে তালিবান সরকারকে বৈধতা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু সে সময়ে রাশিয়ার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তালিবানের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি মিলেছে, আফগানিস্তানের বাইরে তাদের পায়ের ছাপ পড়বে না। কিন্তু যে ভাবে পুরনো জমানার তালিবান নেতাদের সামনে রেখে সরকার সাজিয়েছে তালিবান, তাতে মস্কোও উদ্বিগ্ন। কয়েক দিন থেকেই তারা সন্ত্রাস প্রশ্নে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে যাতে সন্ত্রাসবাদ বাইরে না আসতে পারে তার জন্য নয়াদিল্লি এবং মস্কো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করবে।
তালিবানের ক্ষমতা দখলের ফলে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কী কী প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে আজ মত বিনিময় করেছেন ডোভাল-পাত্রুশেভ এবং ডোভাল-বার্নস। আফগানিস্তান থেকে মাদক চোরাচালানের দিকটিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলির সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী এবং পাত্রুশেভ সাম্প্রতিক বড় পরিবর্তনগুলি নিয়ে কথা বলেছেন। বছরের শেষে ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্মেলন হবে নয়াদিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার দূতকে জানিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।