অমরনাথের বিপর্যস্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে আনা হচ্ছে জখম তীর্থযাত্রীকে। শনিবার। ছবি সেনার সৌজন্যে
অমরনাথের বিপর্যয়ে আটকে পড়া এ রাজ্যের বাসিন্দাদের খোঁজ পেতে জেলা প্রশাসনগুলিকে সক্রিয় করল রাজ্য সরকার। কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে রাজ্য সরকার। উদ্ধারকাজে সেই রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করতে দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের রেসিডেন্ট কমিশনারের অফিসকেও সক্রিয় করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।সরকারি সূত্রের খবর, নবান্নতেও একটি কন্ট্রোল রুম (০৩৩-২২১৪ ৩৫২৬) খোলা হয়েছে।
সরকারি সূত্রের দাবি, বৃষ্টির কারণে হওয়া বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ঠিক কত জন পুণ্যার্থী বা পর্যটক সেখানে আটকে রয়েছেন তার পূর্ণাঙ্গ হিসাব শনিবার রাত পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে চোখ-কান খোলা রাখার নির্দেশ পাঠিয়েছে নবান্ন। অমরনাথে গিয়ে কারও আটকে থাকার খবর পেলেই সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন তা নবান্নকে জানাবে। রেসিডেন্ট কমিশনারের দফতরের মাধ্যমে কাশ্মীর প্রশাসনকে তা জানানো হবে। দিল্লিতে রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনারের অফিসকে কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখতে বলেছে নবান্নের শীর্ষ মহল।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিছু মানুষ এখনও আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ন্যাশনাল ডিজ়াস্টার রেসপন্স ফোর্স এবং ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। অমরনাথে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আটকে-পড়া পর্যটকদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ১১ থেকে ১২ জন পর্যটক আছেন। জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। ওই পর্যটকেরা সকলেই নিরাপদে আছেন বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার টুইটবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “অমরনাথে বিপর্যয়ের খবরে আমি স্তম্ভিত। মৃতদের নিকটজনেদের সমবেদনা জানাই। যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের জন্যও আমার সমবেদনা রয়েছে। এ রাজ্যের যে পুণ্যার্থীরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের উদ্ধারের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দুর্গতদের পরিবারগুলির জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।”