সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেল কেন্দ্র, অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ খারিজ

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:১৩
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল কেন্দ্র। সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর ডিরেক্টর অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। ফলে ফের সিবিআই ডিরেক্টরের পদ ফিরে পাচ্ছেন ‘নির্বাসিত’ অলোক বর্মা। তবে আপাতত তিনি কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এই রায়ের ফলে অলোক বর্মা আংশিক জয় পেলেন বলেই ব্যাখ্যা আইনজীবী মহলের। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দাবি, সরকার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিল।

Advertisement

২৩ অক্টোবর কেন্দ্রের ওই মধ্যরাতের নির্দেশ খারিজ করে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ওই নির্দেশিকার মাধ্যমে সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মাকে যে অপদস্থ করার চেষ্টা হয়েছিল, তা স্পষ্ট।’’

শীর্ষ আদালতের রায়ে পদ ফিরে পেলেও নীতিগত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না অলোক বর্মা। তাঁর পদ এবং অবস্থান নির্ধারণের জন্য সিলেকশন কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই কমিটিতে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা।

Advertisement

আরও পডু়ন: হাওড়া-শিয়ালদহ শাখায় দফায় দফায় রেল অবরোধ, বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে একাধিক ট্রেন, দুর্ভোগ চরমে

সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার সঙ্গে স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার সংঘাত চরমে ওঠে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই স্বশাসিত সংস্থার অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। তার জেরে গত ২৩ অক্টোবর মধ্যরাতে অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। একই নির্দেশ দেওয়া হয় রাকেশ আস্থানার ক্ষেত্রেও। কিন্তু ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দু’টি মামলা দায়ের হয়। একটি করেন অলোক বর্মা নিজে। অন্যটি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। মঙ্গলবার অলোক বর্মার মামলার রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

অলোক বর্মার দাবি ছিল, মধ্যরাতের ওই নির্দেশিকা আইনবিরুদ্ধ। সিবিআই-এর আইন অনুযায়ী, সিবিআই ডিরেক্টরের মেয়াদ দু’বছরের জন্য নির্দিষ্ট। তাঁর মধ্যে তাঁকে সরানের ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র প্রধান বিচারপতি অথবা তাঁর মনোনীত কোনও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে গঠিত নিয়োগ কমিটির।

আরও পড়ুন: উচ্চবর্ণের মন পেতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ, ভোটে ‘কল্পতরু’ মোদী

রায়ের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি দাবি করেছেন, ‘‘সেই সময় যেভাবে অলোক বর্মা এবং রাকেশ আস্থানার সংঘাত সামনে চলে এসেছিল, সেটা সামাল দিতে সরকার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিল। চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনের সুপারিশেই ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এখন সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, সেই মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নই। তবে এটা সরকারের কাছে একটা শিক্ষা।’’ রায়কে স্বাগত জানিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মেহবুবা মুফতির মতো নেতা-নেত্রীরা।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement