ফাইল চিত্র।
কলকাতার ঠিকানায় অবস্থিত সাতটি ভুঁইফোড় সংস্থা। খাতায়-কলমে সাতটিরই ঠিকানা বৌবাজারের বিপিনবিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দু’টি বাড়িতে। সেখান থেকে ৫ কোটি টাকা গিয়েছে কর্নাটকের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার নাতি শশিধর মার্ডীর দুই সংস্থায়। গত বছর জুলাইতে ইয়েদুরাপ্পা ফের কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় পরেই এই দুই সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসেছিলেন তাঁর নাতি।
ইয়েদুরাপ্পা, তাঁর ছেলে, নাতি, জামাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল এক মাস আগেই। অভিযোগ উঠেছিল, বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থাকে ৬৬২ কোটি টাকার সরকারি আবাসন প্রকল্পের বরাত পাইয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার ঘুষ নিয়েছিলেন। কিন্তু ইয়েদুরাপ্পা সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন। বিজেপি নেতৃত্বও গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এ বার কলকাতায় ভুঁইফোড় সংস্থা বা শেল কোম্পানি খুলে তার মাধ্যমে ঘুষের টাকার একাংশ নেওয়ার নথি প্রকাশ্যে আসার পরে কংগ্রেস আজ ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগ দাবি করেছে। প্রধানমন্ত্রী কেন এ বিষয়ে নীরব এবং কেন তিনি ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে হটাচ্ছেন না— এই দুই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।
এআইসিসি-তে কর্নাটকের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, “না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গার স্লোগানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কটু গন্ধ। মুখ্যমন্ত্রীর নাতি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে টাকার হাতবদলে জড়িত। তার পরেও কর্নাটকের দুর্নীতিগ্রস্ত ইয়েদুরাপ্পা সরকার নিয়ে মোদীজি নীরব। মোদীজি, জাগুন!” কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি বলেন, “বিজেপির বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলেও ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগ করা উচিত, কিংবা তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত। কিন্তু চৌকিদার ঘুমিয়ে কেন? তিনি অন্যের বাড়িতে চৌকিদারি করেন, কিন্তু নিজের ঘরে চুরি হতে দেন।”
ইয়েদুরাপ্পার কন্যা পদ্মাবতীর ছেলে শশিধর অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থার থেকে ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বি এস বিজয়েন্দ্র ও রাজ্য সরকারের এক অফিসার ৪৫ কোটি টাকা ঘুষের দাবি করেছিলেন। সরাসরি ঘুষ নিলে ধরা পড়ার ভয়েই কলকাতায় ভুয়ো সংস্থা খুলে ঘুষ নেওয়া হয়েছে।