Extra Marital Affair

বিবাহিত জেনে সম্পর্কে থাকলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস বলা যাবে না, জানাল আদালত

তরুণী জানতে পারেন ৬ বছর আগে ওই যুবকের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। পুলিশ জানায়, সম্পর্কের বিষয়ে যুবকের গোপনীয় তথ্য জানতেন তরুণী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ ২০:২২
Share:

কেন সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে গেলেন তরুণী? এত দিন কি তিনি সমর্থন করেছিলেন? প্রতীকী ছবি।

সঙ্গী বিবাহিত জেনেও সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে সেই সঙ্গীর বিরুদ্ধেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ বৈধ হতে পারে না। এটাকে প্রেম এবং আবেগের সম্পর্ক বলা যেতে পারে। এক মহিলার আনা অভিযোগ খারিজ করে এমনই জানাল কেরল হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহারকে অপরাধ বলা যায়। কিন্তু দু’জনের সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্ক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণকে প্রতিষ্ঠিত করে না।

Advertisement

২০১০ সালে শ্রীকান্ত শশীধরন নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় কেরলের এক তরুণীর। ২০১৩ সালে তরুণী জানতে পারেন প্রায় ৬ বছর আগে ওই যুবকের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বিয়ের কথা জেনেও ওই সম্পর্ক থেকে বেরোতে চাননি তরুণী। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিল তাঁদের সেই সম্পর্ক। তার পর ওই তরুণী প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর করেন ওই যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শ্রীকান্ত। সে তা পালন করেননি। বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। তরুণীর এই দাবির অস্বীকার করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন যুবক। তাঁর বক্তব্য, ওই তরুণীর সঙ্গে ভালবাসা এবং শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল এ কথা সত্য। তবে বিয়ের কোনও প্রতিশ্রুতি তিনি দেননি।

তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে আদালতে পুলিশ জানায়, ওই যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালন না করার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর সঙ্গে অনেক মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এমনকি, তরুণী দাবি করেছেন, বিবাহবিচ্ছেদের আশ্বাস দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে শারীরিক সম্পর্ক করতেন যুবক। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে সম্পর্ক চালিয়ে গিয়েছেন তরুণী। এত দিন তিনি এ নিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি। ফলে হঠাৎ এখন তাঁর অভিযোগের অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তা ছাড়া তরুণী পুলিশকে যে বয়ান দিয়েছেন সেটাকে সত্য হিসাবে ধরলে বলা যায়, সম্পর্কের বিষয়ে যুবকের গোপনীয় তথ্য জানতেন তরুণী। ফলে প্রশ্ন ওঠে, এর পরেও কেন সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে গেলেন তরুণী? এত দিন কি তিনি সমর্থন করেছিলেন?

Advertisement

আদালতের মতে, এই ধরনের দম্পতির মধ্যে যে কোনও সম্পর্ককে শুধু মাত্র প্রেম এবং আবেগের ফল বা কারণ হিসাবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। এর মধ্যে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে মামলাকারী যুবকের বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগই বাতিল করা হল। এই মামলায় তাঁর কোনও দোষ দেখছে না আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement