গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হতে পারেন মহিলারাও। প্রতীকী ছবি।
শুধু পুরুষ নয়, প্রয়োজনে মহিলাদের বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা যেতে পারে বলে জানিয়ে দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। ১৮৬০-এর ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১৩ সালে সংশোধিত ১৩ নম্বর আইন পর্যবেক্ষণ করে এ কথা জানিয়েছে বিচারপতি শেখরকুমার যাদবের একক বেঞ্চ।
বিচারপতি যাদব তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘‘কোনও মহিলা ধর্ষণ করতে পারেন না। তবে তিনি যদি এক দল লোকের সঙ্গে মিলে এই কাজটি (ধর্ষণ) করতে সহায়তা করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মামলা হতে পারে।’’ ২০১৩ সালে সংশোধিত ৩৭৫ এবং ৩৭৬(ই)-র নয়া ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী কোনও মহিলার ইচ্ছের বিরুদ্ধে এবং জোর করে বা ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা আইনের চোখে জঘন্যতম অপরাধ। সেই মহিলা যদি ১৬ বছরের নীচে হন সে ক্ষেত্রে মহিলার ইচ্ছা এবং অনিচ্ছা উভয় ক্ষেত্রেই তা অপরাধযোগ্য বলে বিবেচ্য হবে। অন্য দিকে, ২০১২ সালে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের পর ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন করে ধর্ষণের সাজা ‘মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে’ বলে ৩৭৬ ই ধারা যুক্ত করা হয়েছিল।
ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে ‘গণধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের’ বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা রুজু করার নিদান রয়েছে, তার সব ক’টিতেই মহিলাদের যুক্ত করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি যাদব। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য,‘‘ব্যক্তি বলতে এ ক্ষেত্রে সঙ্কীর্ণ ভাবে কেবল পুরুষদের বোঝানো হয়নি।’’