গৌতম আদানি। ফাইল ছবি।
দেশের অর্থনীতিতে আদানি-কাণ্ডের ফল খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রস্তাবে সায় দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সোমবার কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতের কাছে এ বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আদানি সঙ্কটের জেরে যাতে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন তা নিশ্চিত করতেই গত শনিবার বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো এবং কর ফাঁকি-সহ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনেছে আমেরিকান লগ্নি গবেষণা সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। এ নিয়ে কেন্দ্রকে ধারাবাহিক ভাবে নিশানা করেছেন বিরোধীরা। এই আবহে কেন্দ্রের অবস্থান ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
আদানি-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে পেশ করা আবেদনের শুনানিতে গত শনিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কি আমরা ব্যবস্থা নেব? আমরা নীতিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তা সরকারের কাজ।’’ কিন্তু সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির পরামর্শ দিয়েছি। সরকারেরও এই বিষয়ে আগ্রহ থাকা প্রয়োজন। শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও ভারতীয় লগ্নিকারীদের স্বার্থরক্ষা সম্পর্কে আশঙ্কার কথা আমরা সলিসিটর জেনারেলকে জানিয়েছি।’’
সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানান, সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-ই বাজার নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। তারাই পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ‘‘আমরা কোনও নিয়ন্ত্রক কাঠামোর সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে চাই না। আলোচনা চাই।’’ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শনিবার শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিলেন, সেবি-র সঙ্গে আলোচনা করে সোমবার তিনি কোর্টে কেন্দ্রের অবস্থান জানাবেন।