Gyanvapi Masjid

মসজিদ পক্ষের আর্জি খারিজ, জ্ঞানবাপী চত্বরে পুজো নিয়ে বারাণসী আদালতকে ছ’মাসে রায় দিতে বলল হাই কোর্ট

মোট পাঁচটি আবেদন জমা পড়ে হাই কোর্টে। শুক্রবার সব ক’টি আবেদনই খারিজ করে দিল হাই কোর্ট। শুধু তাই নয়, আগামী ছ’মাসের মধ্যে মামলাটির শুনানি শেষ করার জন্য বারাণসী আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:০৬
Share:

জ্ঞানবাপী মসজিদ। —ফাইল চিত্র।

জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে পুজো করার আর্জি জানিয়ে বারাণসী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল হিন্দু পক্ষ। তার বিরুদ্ধে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। মোট পাঁচটি আবেদন জমা পড়ে হাই কোর্টে। শুক্রবার সব ক’টি আবেদনই খারিজ করে দিল হাই কোর্ট। শুধু তাই নয়, আগামী ছ’মাসের মধ্যে মামলাটির শুনানি শেষ করার জন্য বারাণসী আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

Advertisement

এর আগে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির তরফে পাঁচ হিন্দু মহিলার ২০২১ সালের পূজার্চনার আর্জি খারিজ করার জন্য বারাণসী জেলা আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। মসজিদ কমিটির আইনজীবী অভয় নাথ বারাণসী জেলা আদালতে জানিয়েছিলেন, ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন এবং ১৯৯৫ সালের সেন্ট্রাল ওয়াকফ আইন অনুযায়ী, এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হতে পারে না। অন্য দিকে, হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন এবং হরিশঙ্কর জৈনের দাবি ছিল, ১৯৯১ সালের ওই আইন জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তিনি জানান, ১৯৪৭ সালের পরেও শৃঙ্গার গৌরীস্থলে পূজার্চনার প্রমাণ রয়েছে। বারাণসী আদালতের বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেস মুসলিম পক্ষের যুক্তি খারিজ করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী ধর্মস্থানের চরিত্র বদল করা যায় না। কিন্তু ওই আইনে কোথাও বলা নেই, ধর্মস্থানের প্রকৃত চরিত্র নির্ধারণ করা যাবে না।’’

২০২১ সালের অগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে যে মামলা দায়ের করেছিলেন, তারই প্রেক্ষিতে মসজিদের অন্দরের ভিডিয়ো সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বারাণসীর নিম্ন আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর। এর পরেই হিন্দু পক্ষের তরফে প্রাপ্ত নমুনাগুলির কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছিল ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত সোমবারই মুখবন্ধ খামে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’র রিপোর্ট পেশ করল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)। ওই মামলার সরকারি আইনজীবী অমিত শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এএসআই-এর তরফে বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেসের কাছে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এর আগে কয়েক দফা রিপোর্ট পেশের সময়সীমা পেরনোর পরে আদালতের অনুমতিক্রমে বাড়তি সময় নিয়েছিল এএসআই। মুখবন্ধ খামে পেশ করা রিপোর্টে কী রয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানানো হয়নি এএসআই-এর তরফে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement