Mamata Banerjee

বামেদের শ্রমিক সম্মেলনে মমতার নামে ‘জয়ধ্বনি’! মন্ত্রীর দাবিকে মানছেন না ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা

শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের দাবি, বাম শ্রমিক সংগঠনের সম্মেলনে তিনি যখন বক্তৃতা করছিলেন, মঞ্চের নীচে থাকা বিরোধী শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৪৬
Share:
The slogan of Mamata Banerjee Zindabad was raised in the labor union TUCC meeting of Left Front partner Forward Bloc

(বাঁ দিকে) ফরওয়ার্ড ব্লকের শ্রমিক সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন কো-অর্ডিনেটর সেন্টারের সম্মেলনে মলয় ঘটক ও রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

বামফ্রন্ট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের শ্রমিক সংগঠনের সভায় জয়ধ্বনি উঠল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। এমনটাই দাবি করলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। সোমবার মৌলালী যুব কেন্দ্রে ফরওয়ার্ড ব্লকের শ্রমিক সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন কো-অর্ডিনেটর সেন্টারের (টিইউসিসি) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখযোগ্য ভাবে সেই সভার প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সম্মেলনে তিনি যখন বক্তৃতা করছিলেন, মঞ্চের নীচে থাকা বিরোধী শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি দিয়েছেন।

Advertisement

মলয় বলেন, ‘‘বিরোধী শ্রমিক সংগঠনের সভায় হাজির হয়ে আমি বক্তৃতা করছিলাম। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর শ্রমিকদের স্বার্থে করা কাজগুলি যখন একে একে উল্লেখ করছি, তখন উপস্থিত শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের তরফে মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘বিরোধী বামফ্রন্টের শরিক শ্রমিক সংগঠনের সভায় নেত্রীর নামে জয়ধ্বনি শুনে ভালই লেগেছে। এটা আমাদের কাছে রাজনৈতিক জয়।’’

যদিও, টিইউসিসি-র রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী মন্ত্রীর এমন দাবি মানতে চাননি। তবে মন্ত্রীর মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রমিক স্বার্থে করা কাজগুলির কথা শুনে যে তাদের সংগঠনের সদস্যরা হাততালি দিয়েছেন, তা অবশ্য মেনে নিয়েছেন তিনি। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট জমানায় অসংগঠিত শ্রমিক পেনশনের জন্য ২৫ টাকা দিতে হত, বাকি ৩০ টাকা দিতে সরকার। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই টাকার পুরোটাই দিয়ে দেয়। মন্ত্রী মলয়বাবু সে কথা নিজের ভাষণে উল্লেখ করছিলেন। সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের লেবার কোড যে মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই পশ্চিমবঙ্গে চালু করা হয়নি, তা-ও উল্লেখ করছিলেন। সে সব শ্রমিক স্বার্থরক্ষার পদক্ষেপের কথা শুনে কর্মীরা হাততালি দিয়েছেন। কখনওই মুখ্যমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি দেওয়া হয়নি।’’

Advertisement

ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় আবার দাবি করেছেন, মৌলালী যুব কেন্দ্রে যাদের সভা হয়েছে, তাদের সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই অভ্যন্তরীণ কলহে জেরবার হয়েছে ফব-র রাজ্য নেতৃত্ব। সে ক্ষেত্রে ফব-র মূল সংগঠনের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনেও সেই দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে।

টিইউসিসি ফব-র শ্রমিক সংগঠন হলেও, সম্মেলনের আয়োজক শ্রমিক সংগঠন টিউইসিসি-র দাবি তাদের সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক যুক্ত নয়। তারা ২০১৬ সাল থেকে একক ভাবে পথ চলছেন। যদিও ফরওয়ার্ড ব্লকের মতোই এই শ্রমিক সংগঠনের পতাকার রং লাল, সঙ্গে রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও লাফ দেওয়া বাঘের ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement