২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে শেষ স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা। তাই লাল কেল্লার র্যামপার্ট থেকেই নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিতে চান। আর সেই সূত্রে তুলে ধরতে চান গত সাড়ে চার বছরে তাঁর সরকারের যাবতীয় সাফল্য।
সরকারি সূত্রের খবর, গত চার বছরে সরকার কী কী প্রকল্প চালু করেছে, তার বিস্তারিত তালিকা সমস্ত মন্ত্রকের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বিশেষ করে তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসি, মহিলাদের জন্য সরকার কী কী করেছে, তার পৃথক তালিকা চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে নীতি আয়োগ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কর্তাদের নিয়ে দু’দফায় বৈঠক করেছেন। কোন প্রকল্পে কতটা এগিয়েছে, তা নিজে খতিয়ে দেখেছেন। সরকারি আধিকারিকেরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা তৈরি করতেই এই সব তথ্য কাজে লাগানো হবে।
উচ্চপদস্থ সরকারি আমলাদের কাছে নির্দেশ গিয়েছে, লাল কেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় অবশ্যই হাজির থাকতে হবে। আমলাদের অনেকেই ছুটির দিনের সকালে লাল কেল্লায় যেতে গড়িমসি করেন। এবার ক্যাবিনেট সচিবালয়ের স্পষ্ট নির্দেশ, স্বাধীনতা দিবসের মতো জাতীয় অনুষ্ঠানে কম হাজিরার ঘটনা এড়াতে হবে। যাঁদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে, তাঁদের সকলকেই হাজির থাকতে হবে। গরহাজিরাকে গুরুতর গাফিলতি হিসেবে দেখা হতে পারে।
সরকারি সূত্রে খবর, গরিব মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় একগুচ্ছ উপহার থাকতে পারে। নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রতিশ্রুতি মতো বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে এনে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করতে পারেননি। তাই ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ হিসেবে গরিবের জন ধন অ্যাকাউন্টে ওভারড্রাফটের ঊর্ধ্বসীমা দ্বিগুণ করে দেওয়া হতে পারে। যার অর্থ, অ্যাকাউন্টে যা টাকা রয়েছে, তার থেকে এত দিন ৫ হাজার টাকা বেশি তোলা যেত। পরে টাকা জমা দিয়ে হিসেব মিটিয়ে দিতে হত। এ বার তা বেড়ে ১০ হাজার টাকা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনায় প্রায় ৩২ কোটি ব্যা