শিমলায় উপনির্বাচন। ছবি: পিটিআই।
এক সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১১টি রাজ্যের তিনটি লোকসভা ও ২৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সাধারণত উপনির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতারা তেমন মাথা ঘামান না। কিন্তু শনিবারের উপনির্বাচনে বিজেপি থেকে কংগ্রেস, আরজেডি থেকে শিবসেনা সব দলের শীর্ষ নেতাদেরই নজর থাকল।
আজ ১১টি রাজ্যের উপনির্বাচনে অধিকাংশ রাজ্যেই ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে হরিয়ানায়, প্রায় ৭৩ শতাংশ। তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি)-র নেতা অভয় চৌটালা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেই এলনাবাদ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে অভয় চৌতালা ফের প্রার্থী। এই উপনির্বাচন শুধু অভয়ের পরীক্ষা নয়। দুর্নীতির অভিযোগে ১০ বছর পরে জেলে বন্দি থাকার পর মুক্তি পাওয়া তাঁর পিতা, আইএনএলডি প্রধান ওমপ্রকাশ চৌতালারও রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পরীক্ষা। উল্টো দিকে, কৃষক আন্দোলনের জেরে চাপের মুখে থাকা বিজেপি উপনির্বাচনে হেরে গেলে জাতীয় স্তরেও নেতিবাচক বার্তা যাবে বলে দলের নেতারা মনে করছেন। মহারাষ্ট্রের নানদেদ জেলার ডেগলুর উপনির্বাচনে আবার বিজেপি সরকারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ নিজের দলের প্রার্থীকে জেতাতে মরিয়া। কারণ, গত মে মাসে পান্ধারপুরের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের শাসক জোটের প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। তার পুনরাবৃত্তি হলে মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের অন্দরের সমস্যা প্রকট হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এমনিতেই দাদরা ও নদর হাভেলির লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস ও শিবসেনা দু'দলই প্রার্থী দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে যেমন তৃণমূল নিজের আসন আরও বাড়াতে চাইবে, তেমনই অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি পাঁচটি বিধানসভার উপনির্বাচনে আসন সংখ্যা বাড়াতে চাইবে। উল্টো দিকে কংগ্রেস এইউডিএফ-এর সঙ্গে জোট ভেঙে নিজেই পাঁচটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে অগ্নিপরীক্ষায় নেমেছে। বিজেপি শাসিত কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বদলের পরে এই প্রথম দু’টি আসনে উপনির্বাচন। সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার চাপে বিজেপি তাঁর পুত্র বিজয়েন্দ্রকে একটি আসনে প্রার্থী করেছে। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলেও মুখ্যমন্ত্রীরা নিজেদের জোরে দলের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। বিহারের দু'টি আসনে কংগ্রেস ও আরজেডি-র আলাদা লড়াইয়ের পরে কী ফল হয়, সে দিকেও নজর থাকছে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের।