ফাইল চিত্র।
রাজস্থানে আগামিকালই মন্ত্রিসভার রদবদল হতে পারে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। তার আগে আজ ইস্তফা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের মন্ত্রিসভার সব সদস্য। তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন গহলৌত। আগামিকাল রাজ ভবনে নয়া মন্ত্রিসভার সদস্যেরা শপথ নিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস সূত্রে খবর, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাবের মতো রাজস্থানেও কংগ্রেসের সমস্যা সমাধানে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, গত বছর অশোক গহলৌত ও মরু-রাজ্যের কংগ্রেসি রাজনীতিতে তাঁর বিরোধী হিসেবে পরিচিত সচিন পাইলটের মধ্যে সমঝোতার সময়ে কিছু শর্ত স্থির হয়েছিল। তার মধ্যে পাইলটের সমর্থকদের মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া ছিল অন্যতম। সম্প্রতি দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে পাইলট ও গহলৌতের বৈঠক হয়। তার জেরেই মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি গহলৌত-সমর্থক হিসেবে পরিচিত হরিশ চৌধুরি, গোবিন্দ সিংহ দোস্তারা কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীর কাছে চিঠি লিখে মন্ত্রিপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তাঁদের ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন গহলৌত। হরিশ চৌধুরি পঞ্জাবের দায়িত্ব নিয়ে সে রাজ্যে কংগ্রেসে দ্বন্দ্ব সামলানোর কাজ ভাল ভাবেই করেছেন বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। গোবিন্দ সিংহ দোস্তারাকে রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আজ বলেন, ‘‘আমি অখুশি হয়ে ইস্তফা দিইনি। দলীয় কর্মী হিসেবে কাজ করে রাজ্যবাসীর কাছে সরকারের প্রকল্পের সুবিধে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে চাই। মন্ত্রিসভায় কী পরিবর্তন হবে তা মুখ্যমন্ত্রীই স্থির করবেন।’’সূত্রের খবর, গহলৌত ও পাইলটের মধ্যে সমঝোতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তার পরে ছত্তীসগঢ় ও পঞ্জাবেও একই ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।