উত্তর করিমগঞ্জ আসনে এআইইউডিএফ চূড়ান্ত প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ১২ মার্চ এআইইউডিএফের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হলেও উত্তর করিমগঞ্জ আসনে সাহাবুল ইসলাম চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয় পরদিন। কিন্তু তার পর থেকেই জেলা এআইইউডিএফে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
উত্তর করিমগঞ্জ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি প্রার্থী হতে না পেরে এখন দলের প্রধান বদরুদ্দিন আজমলের উপরে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। দলীয় সূত্রে খবর, এআইইউডিএফ যখন করিমগঞ্জ জেলা পরিষদে লড়ছিল, তখন জয়ের জন্য তাদের একটি ভোট কম পড়ে। সরিষা-বাজারঘাট জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্রবধূ তাঁর ভোটটি এআইইউডিএফ দলের পক্ষে দেওয়ার তারা জেতে এবং জেলা পরিষদ দখল করে। তখনই আজমল নজরুলকে প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। করিমগঞ্জ জেলা জমিয়তের সভাপতি মওলানা ইয়াহিয়া সাহেবও সেই প্রতিশ্রুতি কথা জানতেন। নজরুলবাবুও জমিয়ত সংগঠনের সদস্য।
প্রার্থী হতে না পেরে আজমলের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বিষয়ে ইয়াহিয়া সাহেবকে নালিশ ঠোকেন নজরুলবাবু। ফলে জেলা জমিয়তের পক্ষ থেকেও প্রার্থী বদলের চাপ আসে।
এ নিয়ে নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘‘দলের প্রধান আমায় গুয়াহাটিতে তলব করেছেন। তবে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।’’ সাহাবুল ইসলাম চৌধুরীকেও গুয়াহাটিতে ডেকেছেন আজমল। অবশ্য জমিতয়ের হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করে দল জানায়, প্রার্থী পরিবর্তনের কথা ভাবা হলেও তার পিছনে রাজনৈতিক কারণ আছে।