Uttar Pradesh

মন্ত্রিত্ব বণ্টনে বাড়তি নজর উত্তরপ্রদেশে

নতুন মন্ত্রীদের এই সাত জনের দল দিল্লির কুর্সিতে বসছেন ঠিকই, কিন্তু এঁদের নজর থাকবে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২১ ০৬:১৯
Share:

নতুন মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ছবি: টুইটার।

আগামী বছর উত্তরপ্রদেশের ভোট বিজেপির কাছে মরণ-বাঁচন লড়াই। বুধবার সন্ধ্যার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলে স্বাভাবিক ভাবেই বাড়তি গুরুত্ব পেল উত্তরপ্রদেশই। মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিলেন ৭ জন নতুন মন্ত্রী, যা আজ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অন্য সব রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।

Advertisement

রাজনৈতিক সূত্রের মতে, উত্তরপ্রদেশে জাতপাতের অসন্তোষ সামলানো, প্রশাসনে গতি আনা, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংযোগ মসৃণ করা, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ নিরসন, শরিকদের তুষ্ট করার লক্ষ্য নিয়েই এই নতুন মন্ত্রীদের আনা হল। সূত্রের বক্তব্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর উপরোক্ত সব ক’টি ক্ষেত্রেই যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ব্যর্থতা সামনে চলে এসেছিল। এর পর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচনে বিজেপির ধাক্কা খাওয়ার পরে পরিস্থিতি এতটাই ঘোরতর হয়ে ওঠে যে লখনউয়ে ডেকে পাঠানো হয় যোগীকে।

সূত্রের বক্তব্য— নতুন মন্ত্রীদের এই সাত জনের দল দিল্লির কুর্সিতে বসছেন ঠিকই, কিন্তু এঁদের নজর থাকবে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে। ফলে যোগী আদিত্যনাথের অবস্থান দুর্বল হবে কি না, তা নিয়ে এখন আদৌ মাথা ঘামাতে রাজি নন প্রধানমন্ত্রী। শুধু বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বই নয়, সঙ্ঘ পরিবারেরও নজরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের ভোট।

Advertisement

যাঁরা নতুন মন্ত্রী হলেন, তাঁদের অন্যতম মোহনলালগঞ্জের সাংসদ কৌশল কিশোর। তিনি বিজেপির রাজ্য তফসিলি জাতি শাখার অধ্যক্ষও বটে। যোগীর রাজত্বে দলিত ও পিছিয়ে থাকা শ্রেণির মানুষ সরকারি এবং প্রশাসনিক অবহেলার শিকার— এমন অভিযোগ বেড়েছে। কৌশলকে মন্ত্রী করে এই সম্প্রদায়ের ভোটারদের বার্তা দিতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রী করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যসভার সদস্য এবং রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি বি এল বর্মাকেও। কায়স্থ এই নেতাকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করে দল এবং সরকারের সমন্বয়ের একটি দরজা খোলা হল বলে জানাচ্ছে বিজেপি সূত্র। পাশাপাশি আগরার সাংসদ সত্যপাল সিংহ বাঘেলকে মন্ত্রী করা হয়েছে, যিনি আগে এসপি-র সাংসদ ছিলেন। জালাউনের সাংসদ ভানুপ্রতাপ সিংহ বর্মা এবং খেরির সাংসদ অজয় কুমারও মন্ত্রী হয়েছেন।

শরিক আপনা দলকে তুষ্ট রাখার জন্য তাদের নেত্রী অনুপ্রিয়া পটেলকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে অন্য শরিক নিষাদ পার্টির ক্ষোভও প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ছেলে প্রবীণ নিষাদের মন্ত্রিত্ব চেয়েছিলেন নিষাদ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জয় নিষাদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement