রামমন্দিরের নির্মাণকাজ খতিয়ে দেখছেন তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই (ডান দিক থেকে দ্বিতীয়)। বুধবার অযোধ্যায়। পিটিআই
রাম জন্মভূমি আন্দোলনের নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী নন, অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর আডবাণী নিজে ৫ অগস্টের ওই অনুষ্ঠানে আদৌ থাকবেন কি না, স্পষ্ট নয়। ভূমিপুজোয় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। তবে আমন্ত্রণ পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পিনারাই বিজয়নরা সে দিন যাবেন কি না, কিংবা কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরা কী অবস্থান নেবেন, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।
অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে গঠিত ট্রাস্ট, ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’-র সদস্যেরা আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, প্রস্তাবিত রামমন্দিরের ভুমিপুজো মোদীর হাতেই হবে। ট্রাস্টের সদস্য কমলেশ্বর চৌপল জানান, পুজোর জন্য তাঁদের তরফে মোদীর কাছে দু’টি দিনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল— ৩ অথবা ৫ অগস্ট। ৫ অগস্টকেই বেছে নিয়েছেন মোদী।
অযোধ্যার অনুষ্ঠানের পুরো আলোই যে প্রধানমন্ত্রীর দিকে থাকবে, তাতে সন্দেহ নেই। মোদী অবশ্য এই প্রথম বার আযোধ্যায় পা রাখছেন। ট্রাস্টের সদস্যেরা জানাচ্ছেন, তিথি-নক্ষত্রে ভরসা রেখে ৫ অগস্ট ঠিক সোয়া ১২টায়, ৪০ কেজির রুপোর ইট পুঁতে মোদীর হাতে ভূমিপুজোর উদ্বোধন হবে। প্রথমে হনুমানগঢ়ী মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা, পরে অস্থায়ী রামমন্দিরে পুজো দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরে ভূমিপুজোর উদ্বোধন করবেন। দু’দিন আগে থেকেই অবশ্য বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে পুজোর প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে যাবে। গোটা অনুষ্ঠানের জন্য অযোধ্যায় দু’ঘণ্টা কাটাবেন মোদী। বারাণসী থেকে পুরোহিতেরাও পৌঁছচ্ছেন অযোধ্যায়।
আরও পড়ুন: সুপার স্প্রেডারদের খুঁজেই সংক্রমণে রাশ রাজধানীতে
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রচারের আলোয় থাকলেও সে দিন রাম জন্মভূমি আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাদের ভূমিকা কী হবে? চৌপল জানিয়েছেন, ভুমিপুজোর অনুষ্ঠানে আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী, বিনয় কাটিহারদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। অযোধ্যায় আডবাণী আদৌ উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিয়ে যখন জল্পনা চলছে, তখনই আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র যাদব দিল্লিতে আডবাণীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় পরশু আদালতে আডবাণীর বয়ান রেকর্ড করার কথা। পাশাপাশি, রামমন্দিরের ভূমিপুজোর বিষয়টিও রয়েছে। মনে করা হচ্ছে এ সব নিয়েই তাঁদের কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এ দেশের মতো খোলা ও বিপুল বাজারের জুড়ি দুনিয়ায় মেলা ভার: মোদী
ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ দেবগিরি জানিয়েছেন, ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, আমন্ত্রণ পেলে অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ভূমিকা কী হয়, সেটা দেখার। কংগ্রেসের কোনও কোনও মুখ্যমন্ত্রী নরম হিন্দুত্বের অবস্থান নিয়ে চলেন। অযোধ্যার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে দলকে তাঁরা কী পরামর্শ দেন, সেটাও দেখার। বিহারের ভোটের মুখে এনডিএ শরিক নীতীশ কুমার অযোধ্যায় আসেন কি না, নজর থাকবে সে দিকেও।