ছবি :সংগৃহীত।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকীতে ভারতীয় মুসলিমদের জেহাদে যোগ দিতে ডাক দিল আল কায়দার কাশ্মীর শাখা।
অনলাইনে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় ওই সংগঠনের মুখপাত্র বলে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির দাবি, মুসলিমদের ধ্বংস করার পরিকল্পনা চলছে। তাই সব ভারতীয় মুসলিমের জেহাদে যোগ দেওয়া উচিত। ভিডিও বার্তায় দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস, বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টির মতো সব দলের নেতৃত্বই স্বৈরাচারী। ভারতে শরিয়তি শাসন প্রতিষ্ঠা করা উচিত। বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং ২০০৬ সালে পাকিস্তানের লাল মসজিদে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সে দেশের সেনার অভিযানের কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই বার্তায়।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সাইবার সেলের অফিসারদের মতে, ওই ব্যক্তির উচ্চারণ দেখে মনে হয় সে কাশ্মীরি নয়। আল কায়দার তথাকথিত কাশ্মীর শাখার প্রধান জাকির মুসার ঘনিষ্ঠ কোনও ব্যক্তিই ওই বার্তা প্রচার করেছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখনও মুসার সংগঠনের সঙ্গে কাশ্মীরের বাইরের কারও যোগাযোগের প্রমাণ মেলেনি।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জাকির মুসার সঙ্গে হুরিয়ত নেতৃত্বের গোলমালের ফলে হিজবুল মুজাহিদিন ছাড়তে বাধ্য হয় সে। পরে আল কায়দা বিবৃতি দিয়ে জানায়, মুসা কাশ্মীরে তাদের নতুন শাখার কম্যান্ডার। পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট লস্কর ও হিজবুলের মতো সংগঠনগুলির পাল্টা দাবি, কাশ্মীরে ‘সংগ্রাম’-এর মেরুদণ্ড ভাঙতে মুসার সংগঠন তৈরি করেছে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা।
গোয়েন্দারা জানান, ভিডিও-য় ওই ব্যক্তি নিজেকে ‘সুলতান জাবুল আল হিন্দি’ বলে পরিচয় দিয়েছে। জাবুল দক্ষিণ আফগানিস্তানের একটি এলাকা। সম্প্রতি জাবুল, গজনী ও পাকতিয়া এলাকায় মার্কিন বাহিনীর হামলায় খতম হয়েছে আল কায়দা নেতা ওমর মনসুর। আল কায়দার ভারতীয় সংগঠনের প্রধান ও আদতে উত্তরপ্রদেশের সানা উল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল ওমর। ফলে আল কায়দা কাশ্মীরের নেতা মুসার সঙ্গে সানা উল হকের কোনও যোগাযোগ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।