Akhilesh Yadav

জয়প্রকাশের জন্মজয়ন্তীতে চাপানউতোর যোগীরাজ্যে

জেপিএনআইসি-তে নির্মাণকাজ চলছে জানিয়ে আগেই লখনউ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বলেছিল, অখিলেশের সেখানে না-যাওয়াই ভাল। নির্মাণ সামগ্রী যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ০৬:২০
Share:

অখিলেশ যাদব। —ফাইল চিত্র।

জয়প্রকাশ নারায়ণের জন্মজয়ন্তীতে শুক্রবার রাজনীতির আঁচে তেতে উঠল উত্তরপ্রদেশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে সমাজবাদী পার্টির (এসপি) অখিলেশ যাদব জয়প্রকাশ নারায়ণ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে (জেপিএনআইসি) পৌঁছে যান। তিনি অভিযোগ করেন, সেন্টারে ঢোকার মূল ফটকে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পুলিশ টিনের ঘেরাটোপ দিয়েছে মানুষের প্রবেশ আটকাতে। শুক্রবার সকালে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর লখনউয়ের বাড়ির সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে যাতে এসপি-র কর্মী-সমর্থকেরা সেখানে ঢুকে জয়প্রকাশের মূর্তিতে মালা দিতে না পারেন। বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ রাস্তায় দলের লোকজনের প্রবল ভিড়ের মধ্যে একটি গাড়িতে বসানো জয়প্রকাশের মূর্তিতে মালা দেন তিনি।

জেপিএনআইসি-তে নির্মাণকাজ চলছে জানিয়ে আগেই লখনউ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বলেছিল, অখিলেশের সেখানে না-যাওয়াই ভাল। নির্মাণ সামগ্রী যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে। সাপখোপের ভয় রয়েছে। অখিলেশ এ দিন অভিযোগ করেন, জেপিএনআইসি বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে যোগী সরকার। সে জন্যই ঢেকে রেখে, মানুষের নজর থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা চলেছে।

Advertisement

আজ অখিলেশ বলেন, “বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও (নীতীশ কুমার) কথায় কথায় জয়প্রকাশ নারায়ণজির প্রসঙ্গ টানেন। বস্তুত, জেপি-র আন্দোলন থেকেই তিনি উঠে এসেছেন। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সরকার সমাজবাদীদের জয়প্রকাশজয়ন্তীতে তাঁকে স্মরণ করতে বাধা দিচ্ছে। এ বার তাঁর (নীতীশ) এনডিএ-র থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা উচিত।” এর পরেই নীতীশের জনতা দলের নেতা কে সি ত্যাগী পাল্টা বলেন, জরুরি অবস্থায় কংগ্রেস যা করেছে, সে জন্য অখিলেশের উচিত কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে না থাকা। কে সি বলেন, “কংগ্রেসের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব জয়প্রকাশই দিয়েছিলেন।”

উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যও একই সুরে বিদ্ধ করেছেন অখিলেশকে। তাঁর বক্তব্য, অখিলেশ ‘দ্বিচারী’। মৌর্য বলেন, “এক হাতে উনি (অখিলেশ) প্রকাশ্যে রাহুল গান্ধীর জন্য কাজ করেন, অন্য হাতে পুজো করতে চান লোকনায়ক জয়প্রকাশের, যিনি দেশকে কংগ্রেসের স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত করেছিলেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement