অখিলেশ যাদব। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দেওয়া মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগল সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। দলের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কমিশনের রিপোর্টেই স্পষ্ট, কার ইঙ্গিতে তা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত অধ্যক্ষ নির্বাচনে যে ভাবে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় হিংসার আশ্রয় নিয়েছে যোগী প্রশাসন, তা সবাই জানেন। দলের বক্তব্য, মানবাধিকার কমিশন সৎ ভাবে কাজ করলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সবার আগে গ্রেফতার করা উচিত ছিল।
১৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। তাতে উপস্থিত থাকবেন এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব। এসপি সূত্রের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দিল্লি আসবেন তখন দিল্লিতে থাকার কথা তাঁর। মমতার সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলতে ইচ্ছুক অখিলেশ। এর আগেও এসপির তরফে জানানো হয়েছে, জাতীয় বিরোধী রাজনীতিতে মমতার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন রয়েছে এসপির।
আজ এসপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কিরণময় নন্দ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তকমা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের অনেককেই আমি দীর্ঘদিন চিনি। উদয়ন গুহ বা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমাদের সুপরিচিত। খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে, কার বা কাদের অঙ্গুলিহেলনে কমিশন এই নির্দেশ দিয়েছে।’’ তাঁর কথায়, “উত্তরপ্রদেশে প্রকাশ্যেই জঙ্গলরাজ চালানো হচ্ছে। সেখানে মানবাধিকার কমিশন চুপ কেন? যোগী আদিত্যনাথকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত গুন্ডামিতে প্রত্যক্ষ মদত দেওয়া এবং তা পরিচালনা করার জন্য।”
অগস্ট থেকে পুরোদমে উত্তরপ্রদেশের ভোট প্রচারে মাঠে নামছে এসপি। কথা চলছে জাতপাত ভিত্তিক ছোট ছোট দল ও সংগঠনগুলির সঙ্গে। কোভিড বিপর্যয়, গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া, দলিত নির্যাতন, আইনশৃঙ্খলার মতো বিষয়গুলি নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এসপির। গত কালই প্রধানমন্ত্রী বারাণসীতে গিয়ে বক্তৃতায় বলেছেন, যোগী সরকার যে ভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করেছে, তা ‘অতুলনীয়’। এসপি নেতৃত্বের বক্তব্য, দেশের প্রধানমন্ত্রী কত দূর সত্যি বলেন, তা আজ আর গোপন নেই! গঙ্গার জল দূষিত হয়ে গিয়েছে ভাসিয়ে দেওয়া মৃতদেহের জন্য। মাটিতে চাপা দেওয়া লাশ কুকুর টেনে খেয়েছে। এসপির বক্তব্য, গোটা দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরপ্রদেশ।