এ কে অ্যান্টনি
সনিয়া গাঁধী অনুপস্থিত। রাহুল গাঁধী বিদেশে। এই অবস্থায় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে এআইসিসি সদর দফতরে দলীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রবীণ নেতা এ কে অ্যান্টনি।
গাঁধী পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত রইলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। আর সোমবার সকালের এই ‘সমীকরণ’ নতুন করে উস্কে দিল কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতির নাম ঘিরে জল্পনাকে।
অনেকের মুখেই প্রশ্ন, রাহুল এখন সভাপতির দায়িত্ব নিতে রাজি না-হলে কি তবে সভাপতির পদে দেখা যাবে এ কে অ্যান্টনিকে? নাকি সনিয়ার পরে সভানেত্রীর দায়িত্ব নেবেন প্রিয়ঙ্কা?
আপাতত প্রিয়ঙ্কার সভানেত্রী হওয়ার সম্ভাবনা পত্রপাঠ খারিজ করে দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। তবে অ্যান্টনির সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই। কংগ্রেস সূত্রের ব্যাখ্যা, রাহুল সত্যিই সভাপতি পদে দায়িত্ব নিতে রাজি না-হলে, অ্যান্টনির মতো আস্থাভাজন কাউকে ওই পদে চাইবে গাঁধী পরিবার। ফলে দৌড় থেকে তাঁর নাম কেটে দেওয়া শক্ত।
কিন্তু অ্যান্টনির সমস্যা হল, তিনি ভাল হিন্দি বলতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে মল্লিকার্জুন খড়্গের নাম উঠে আসতে পারে। ২০১৭ সালে রাহুল কংগ্রেস সভাপতি হয়েছিলেন। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের হতাশাজনক ফলের পরে তিনি ইস্তফা দেন। সনিয়া অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হন। এখন যিনি সভাপতি হবেন, তাঁর মেয়াদ হবে ২০২২ পর্যন্ত। পরবর্তী লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে বরং তখন রাহুল সভাপতি হতে পারেন বলে অভিমত কংগ্রেসের এক বড় অংশের। সে ক্ষেত্রে আগামী দু’বছর অন্য কেউ কাজ চালাবেন।
যদিও অ্যান্টনির দলীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা কে সি বেণুগোপালের ব্যাখ্যা, ‘‘সনিয়া গাঁধীকে আমরা কোভিডের জন্য আজকের জমায়েতে আসতে বারণ করেছিলাম। প্রবীণতম নেতা হিসেবে অ্যান্টনি পতাকা তুলেছেন।’’
রাহুলের অনুপস্থিতি কিংবা দলের পরবর্তী সভাপতির নাম নিয়ে প্রিয়ঙ্কা এ দিন কোনও উত্তর দেননি। আবার প্রিয়ঙ্কা সভানেত্রী হবেন কি না, সেই প্রশ্নে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার জবাব, ‘‘বিজেপিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নেই। আগে দু’জন বসে সিদ্ধান্ত নিতেন। এখনও তা-ই। কিন্তু আমাদের সভাপতি পদে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যখন মনোনয়নের জন্য আহ্বান জানানো হবে, তখন যে কেউ তা জমা দিতে পারেন। পুরো ছবি স্পষ্ট হয়ে যাবে সেই সময়ই।’’