ইস্তফা দিলেন অজিত-দেবেন্দ্র দু’জনেই।
মহারাষ্ট্রের ফডণবীস সরকার যে পড়তে চলেছে তার ইঙ্গিত মিলেছিল ঘণ্টাখানেক আগেই। উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অজিত পওয়ার ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই দেবেন্দ্র ফডণবীসের ইস্তফা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। শেষমেশ নিজেই তাতে সিলমোহর দিলেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে ফডণবীস জানান, এনসিপি পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে অজিত পওয়ারের সমর্থনে ভর করেই সরকার গড়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই অজিত পওয়ারই দেওয়ায় আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই তাঁদের। তাই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আগামিকালই মহারাষ্ট্রে আস্থাভোট করতে হবে বলে এ দিন সকালেই জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। অজিতকে দলে ফেরাতে তৎপরতা শুরু হয় এনসিপি-তে। অজিতকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে দলের তরফে খবর ছড়ায়।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে কালই আস্থাভোট, গোপন ব্যালট নয়, হবে সরাসরি সম্প্রচার, রায় সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন: বিকেল সাড়ে তিনটেয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন ফডণবীস, জল্পনা তুঙ্গে
তার পরেই দফায় দফায় প্রথমে বিদ্রোহী ১৩ জন বিধায়ক এবং পরে অজিত পওয়ারের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন এনসিপি সুপ্রিমো শপথ পওয়ার। সেখানে তিনি অজিতকে দলে ফিরে আসার আর্জি জানান বলে দলীয় সূত্রে খবর। শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলের স্বামী সদান্দও আলাদা করে অজিতের সঙ্গে দেখা করেন। এর পরেই দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে দেখা করে অজিত পওয়ার ইস্তফাপত্র জমা দেন।
এ নিয়ে এনসিপি প্অরথমে কিছু না বললেও, অজিতকে দলে ফেরানো গিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে জানান শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, ‘‘ইস্তফা দিয়েছেন অজিত দাদা। এখন উনি আমাদের সঙ্গেই। আগামী পাঁচ বছরের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরে।’’