ছবি: পিটিআই।
দিল্লি ও বাংলার পর এ বার অসমে বরাক উপত্যকায় চর্চার কেন্দ্রে ঐশী ঘোষ। এক পক্ষ বক্তৃতার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। আর এক পক্ষ বরাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিচ্ছে।
পড়াশোনার খরচ কমাও, জাতধর্মের হিংসা থামাও। এই স্লোগানকে সামনে রেখে হাইলাকান্দি জেলার আলগাপুরে ছাত্র সমাবেশের ডাক দিয়েছে এসএফআই। ১৯ মার্চ সেখানেই বক্তৃতা করবেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসও সে সমাবেশের বক্তা। ময়ূখকে নিয়ে অবশ্য গেরুয়া বাহিনীর মাথাব্যথা নেই। তারা শুধু ঐশীকে মেনে নিতে পারছে না। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি চলে। এসএফআই সে সবে গুরুত্ব না-দেওয়ায় তারা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে। ঐশীর সফরে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে জেলাশাসক, এসপি-কে স্মারকপত্র দিয়েছে বজরং দল ও দুর্গাবাহিনী। তাদের দাবি, ঐশী দাঙ্গাবাজ। তিনি এলে নানা অপশক্তি উৎসাহিত হবে।
এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ঋতুরাজ গোস্বামী বলেন, ‘‘আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। তবে হুমকিতে আমরা ভীত নই। সমাবেশ হবেই। গুয়াহাটিতেও ঐশীর বক্তৃতা রয়েছে। ঐশীকে আটকানোর প্রয়াসের নিন্দায় সরব হয়েছে সিপিএম দলের জেলা সম্পাদক দুলাল মিত্র বলেন, ‘‘পছন্দের কথা না হলেই রাষ্ট্রদ্রোহী, এ কেমন কথা!’’ উল্টো দিকে বজরং দলের মিঠুন নাথ বলেন, ‘‘সিএএ নিয়ে বরাকে আন্দোলন বা অশান্তি হয়নি। ঐশী এসে এখানে অশান্তি ডেকে আনবেন।’’ এই পরিস্থিতিতে ঐশীর জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তারও দাবি উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশের বক্তব্য, সব দিকে নজর রয়েছে তাদের। ঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাত অদম্য নারীর স্বপ্নউড়ান প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে