আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর। শনিবার মধ্যরাতে মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
চুক্তি হয়েছিল ছ’মাস আগেই। কোভিডের কারণে তিন মাস পিছিয়ে শেষ পর্যন্ত শনিবার মধ্যরাতে আদানি গ্রুপের হাতে মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের পরিচালনার ভার তুলে দিল এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই)। রবিবার থেকেই শুরু হল অপারেশন। রাত ১২টায় মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের ডিরেক্টর ভি ভি রাও দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন আদানি গ্রুপের মেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টের সিইও আশুতোষ চন্দ্র এবং আদানি এয়ারপোর্টস-এর সিইও বেহনাদ জানদি-কে।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ভিত্তিতে মেঙ্গালুরু, লখনউ, আমদাবাদ, জয়পুর, তিরুঅনন্তপুরম ও গুয়াহাটি বিমানবন্দরকে ৫০ বছরের জন্য লিজের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৮ সালে। গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বরাতের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় এবং ছ’টি বিমানবন্দরেই বরাত পায় আদানি গ্রুপ। সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয় এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার পর ছ’মাস সময় ছিল চূড়ান্ত হস্তান্তরের, কিন্তু কোভিডের জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয় আদানি গ্রুপকে। মেঙ্গালুরুর পর আজ রবিবার মধ্যরাতে একই ভাবে হস্তান্তর হবে লখনউ বিমানবন্দর। আমদাবাদের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে ১১ নভেম্বর।
এএআই সূত্রে জানা যায়, শিল্পমহলকে কার্যত চমকে দিয়ে ছ’টি বিমানবন্দরের জন্যই বিপুল অঙ্কের দরপত্র দিয়েছিল আদানি গ্রুপ। অন্য সংস্থাগুলির চেয়ে শুধু বেশি নয়, কার্যত তা ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। মেঙ্গালুরুর জন্য যাত্রীপিছু ১১৫ টাকা এবং লখনউয়ের জন্য দরপত্র ছিল ১৭১ টাকা। দুই বিমানবন্দরের সর্বনিম্ন দরের চেয়ে যা কয়েক গুণ বেশি। একই ভাবে আমদাবাদের ক্ষেত্রেও আদানি গ্রুপের দরপত্র ছিল ১৭৭ টাকা। সর্বনিম্ন দর ছিল ৬০ টাকা।
আরও পড়ুন: ঘরে আগুন, দমবন্ধ হয়ে মৃ্ত্যু জ্যোতিষী জয়ন্ত শাস্ত্রীর
আরও পড়ুন: ‘উত্তরপ্রদেশের দশা হবে বিহারের দুই যুবরাজের’, তেজস্বী, রাহুলকে কটাক্ষ মোদীর
ব্যাঙ্ক, বিমা, বিমান পরিবহণের মতো সরকারি ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব বিরোধীরা। আবার মোদী সরকারের সঙ্গে আদানি-অম্বানীদের ‘সখ্য’ নিয়েও ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ ধেয়ে এসেছে। বিমানবন্দর লিজ দেওয়ার জন্য টেন্ডার ঘোষণার পরে সেই আক্রমণ আরও বাড়ে। দরপত্রে অংশ নেওয়ার পর থেকে বিরোধীদের এমন বক্তব্যও ছিল যে, আদানি গ্রুপের হাতে দেওয়ার জন্যই বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। সেই সব বিতর্ক পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বিমান পরিবহণ পরিষেবার ক্ষেত্রে যাত্রা শুরু করল গৌতম আদানির সংস্থা।