‘রুগ্ণ’ বিমানেই বিপত্তি মুম্বইয়ে

উত্তরপ্রদেশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০০৮-এ ইলাহাবাদ বিমানবন্দরে নামার সময় পিছলে যায় বিমানটি। সেই সময় ডিজিসিএ বিমানটিকে ‘অব্যবহার্য’ বলে ঘোষণা করে। ২৬ বছরের পুরনো বিমানটির অবস্থা যে ভাল নয়, তা ফোনে গত কাল সকালে বাবাকে জানিয়েছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট মেনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার সুরভি গুপ্তাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ০৪:৫১
Share:

স্বজনহারা: চার্টার্ড বিমান দুর্ঘটনায় মৃত পাইলট মারিয়া জ়ুবেরির (ইনসেটে) দেহ দেখে কান্না স্বামীর। ছবি: পিটিআই।

২০০৮ সালে ইলাহাবাদে দুর্ঘটনার পর ২০১৩ পর্যন্ত আর ওড়েনি কিং এয়ার সি-৯০ বিমানটি। ‘বিকল’ অবস্থায় পড়ে থাকা চার্টার্ড বিমানটি ২০১৪-য় উত্তরপ্রদেশ সরকারের থেকে কিনে নেয় মুম্বইয়ের সংস্থা ইউ ওয়াই অ্যাভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড। গত কাল পরীক্ষামূলক উড়ানের সময় ঘাটকোপারে ভেঙে পড়ে এটি।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০০৮-এ ইলাহাবাদ বিমানবন্দরে নামার সময় পিছলে যায় বিমানটি। সেই সময় ডিজিসিএ বিমানটিকে ‘অব্যবহার্য’ বলে ঘোষণা করে। ২৬ বছরের পুরনো বিমানটির অবস্থা যে ভাল নয়, তা ফোনে গত কাল সকালে বাবাকে জানিয়েছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট মেনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার সুরভি গুপ্তাও। সোনপত থেকে সুরভির বাবা আজ বলেন, ‘‘মেয়ে বলেছিল, বিমানটির অবস্থা বেশ রুগ্ণ।’’ গত বছর বিয়ে হয়েছিল সুরভির। তাঁর স্বামীও পাইলট।

কুইজ় প্রতিযোগিতায় সোনার মেডেল পেয়েছিল পাইলট মারিয়া জ়ুবেরির মেয়ে। সেই আনন্দে ইলাহাবাদের বাড়িতে ফোন করে পার্টি দেওয়ার কথা জানান মারিয়া। বৃহস্পতিবার তাঁর তৎপরতায় নির্মীয়মাণ আবাসনের উপর বিমানটি ভেঙে পড়ায় অনেকের প্রাণ বাঁচে। পুলিশ জানায়, ৪০ জন নির্মাণকর্মী সেই সময় দুপুরের খাবার খেতে যাওয়ায় প্রাণরক্ষা পায় তাঁদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement