বায়ুসেনা পেতে চলেছে সি২৯৫ বিমান। —ফাইল চিত্র।
লাদাখ, সিকিম কিংবা অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-র দুর্গম ঘাঁটিগুলিতেও এ বার সহজে অস্ত্র এবং রসদ পৌঁছে দিতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। চিনা ফৌজের আগ্রাসনের আশঙ্কা দেখা দিলেই অগ্রবর্তী সেনাঘাঁটিগুলিতে দ্রুত পৌঁছে দিতে পারবে বাড়তি বাহিনী। সেই সঙ্গে সুবিধা হবে আহত বা অসুস্থ সেনাদের ফিরিয়ে আনা আকাশপথে নজরদারিও।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি মাসেই স্পেন থেকে মাঝারি ক্ষমতাসম্পন্ন সামরিক পরিবহণ বিমান সি-২৯৫-এর প্রথম ব্যাচটি ভারতে আসতে চলেছে। সি২৯৫ বিমানের নির্মাতা সংস্থা এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস জানিয়েছে, পরবর্তী পর্যায়ে ভারতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অংশ হিসাবে তৈরি হবে এই বিমান। সহযোগী সংস্থা হিসাবে থাকবে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড। প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে ৫৬টি সি২৯৫ বিমানের জন্য এয়ারবাসের সঙ্গে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছিল নয়াদিল্লি।
গত ৫ মে বিমানের প্রথম উড়ান পরীক্ষা সফল হয়েছিল। এয়ারবাস জানিয়েছিল ভারতে পাঠানোর জন্য নির্বাচিত বিমানের টানা ৩ ঘন্টা উড়ান পরীক্ষা হয়েছিল ওই দফায়। বুধবার এয়ারবাস সংস্থার ভারতীয় বিভাগের প্রধান জর্জ ট্যামারিথ জানান, আগামী বছরের মে মাসে দ্বিতীয় সি২৯৫ বিমানটি ভারতে এসে পৌঁছবে। তিনি বলেন, ‘‘সি২৯৫ চালানো এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ছ’জন পাইলট এবং ২০ জন ইঞ্জিনিয়ারকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মধ্যস্থতায় স্পেনের সংস্থা ‘এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস’-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য সি২৯৫ বিমান বানাতে টাটা গোষ্ঠীর চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী, স্পেনের নির্মাতা সংস্থার থেকে ১৬টি বিমান ‘উড়ানের উপযুক্ত অবস্থায়’ ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আমদানি করা হবে। বাকি ৪০টি ওই সংস্থা এবং টাটা গোষ্ঠীর সহযোগিতায় ভারতেই বানানো হবে। মাঝারি শক্তির ওই পরিবহণ বিমান ছোট রানওয়েতে ওঠানামা করতে পারে। প্রয়োজনে বিমানটি নজরদারির কাজেও ব্যবহার করা যায়। কয়েক বছর আগেই ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে ওই বিমান নির্মাণ শুরু করেছে তারা। এ বার সেই তালিকায় আসতে চলেছে ভারত।