দিল্লির দূষণ। ছবি: এএফপি। (ইনসেটে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন)।
কোনও মৃত্যু হলেই সেটার দায় বায়ু দূষণের দিকে ঠেলা উচিত নয়। দিল্লির দূষণ নিয়ে যখন দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে, ঠিক সেই সময় কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের এই মন্তব্য বিতর্ক উস্কে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: বিদেশি ধুলোতেও দূষিত দিল্লি
গত মাসেই দ্য ল্যান্সেট কাউন্টডাউন-এর একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে ২০১৫-য় শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণেই ভারতে মৃত্যু হয়েছে ২৫ লক্ষ মানুষের। যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আরও কয়েকটি সমীক্ষাতে বায়ু দূষণকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে। এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে হর্ষ বর্ধন জানান, মৃত্যু হলেই যে সেটা বায়ু দূষণের কারণে হচ্ছে সেটা বলা ঠিক নয়। শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণেই লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে, এই রিপোর্টও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।
২০১৫-য় ১১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় বায়ু দূষণের কারণে। গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বমানের একটি সমীক্ষায় যখন এই ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে আসে, সেই সময় এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই বায়ু দূষণকে ‘সাইলেন্ট কিলার’, ‘স্লো পয়জন’-এর তকমা দিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে সেই সময় পরিবেশমন্ত্রী ছিলেন না হর্ষ বর্ধন। কিন্তু আজ যখন বায়ু দূষণে মৃত্যু নিয়ে সমীক্ষায় ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে, সেই তথ্যকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ধোঁয়াশা থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী করবেন না
গত বুধবারে দিল্লির বাতাসে কার্সিনোজেনিকের মাত্রা বেজিঙের থেকে দশ গুণ বেশি ছিল। রাজ্যে বায়ু দূষণের পরিস্থিতি দেখে দিল্লি হাইকোর্ট ‘আপত্কালীন অবস্থা’র তকমা দিয়েছে। জাতীয় পরিবেশ আদালত রাজ্যের পরিস্থিতিকে ঠিক একই পরিভাষায় চিহ্নিত করেছে। তবে দিল্লির দমবন্ধকর পরিস্থিতিকে এখনই ‘স্বাস্থ্যের আপত্কালীন’ অবস্থা বলতে চাননি পরিবেশমন্ত্রী। তাঁর মতে, দূষণ ছিল, নিশ্চিত ভাবে সেটা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলা শুরু করেছে। পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, দূষণের দিক থেকে এটাকে আপত্কালীন না বলে বায়ু দূষণ প্রতিরোধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেটাকেই আপত্কালীন বলা ভাল।