ছবি: সংগৃহীত
একসঙ্গে প্রায় ৪৮ জন পাইলটকে বসিয়ে দিল এয়ার ইন্ডিয়া। গত ১৩ অগস্ট, বৃহস্পতিবার চিঠি পাঠিয়ে ওই পাইলটদের বলে দেওয়া হয়েছে আর কাজে আসতে হবে না। প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার সংস্থার সিএমডি রাজীব বনসলকে চিঠি পাঠিয়েছে পাইলটদের সংগঠন ইন্ডিয়ান কমার্শিয়াল পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (আইসিপিএ)। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
করোনা পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ উড়ান এখন বন্ধ। জানুয়ারি মাসে যত সংখ্যক উড়ান চলছিল, এখন তার ৩৩ শতাংশ চলছে। সমস্ত উড়ান সংস্থাই লোকসানে চলছে। এয়ার ইন্ডিয়া আগে থেকে লোকসানে চলছিল। তাদের মাথার উপরে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার দেনা। এই অবস্থায় সংস্থা খরচ বাঁচানোর বিভিন্ন উপায় বার করেছে। কর্মী সঙ্কোচন তাদের মধ্যে একটি। কর্মদক্ষতা, নিয়মিত হাজিরা, সংস্থার প্রতি দায়বদ্ধতার নিরিখে কাদের ছাঁটাই করা হবে, তার একটি তলিকা পাঠানোর জন্য প্রতিটি আঞ্চলিক প্রধানকে বলা হয়েছে। ৪৮ জন পাইলটকে সরিয়ে দেওয়া তারই একটি অঙ্গ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ৪৮ জন পাইলট আগেই পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছিলেন। বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাস নাগাদ সংস্থার অবস্থা যখন বেশ খারাপ, নিয়মিত বেতন ও ভাতা পাচ্ছিলেন না কর্মীরা, তখন বেসরকারি সংস্থায় চলে যাবেন বলে এই পাইলটেরা পদত্যাগপত্র জমা দেন। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময়ে বেসরকারি সংস্থাগুলিতেও আস্তে আস্তে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দেয় এই পাইলটেরা সেখানে সুযোগ না পেয়ে পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেন।
সংস্থার দাবি, পদত্যাগপত্র একবার জমা দিয়ে দিলে সেটা গ্রহণ করা হবে কি না তার সিদ্ধান্ত একমাত্র সংস্থার নেওয়ার অধিকার রয়েছে। পদত্যাগপত্র দিলে তার একটি নোটিস পিরিয়ড থাকে। সেই নোটিস পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরে এ বার সেগুলি গ্রহণ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাইলটদের তরফে বলা হয়েছে, যাঁদের এক কথায় সংস্থা বসিয়ে দিল, তাঁরা সকলে নিয়মিত উড়ে বেড়াচ্ছিলেন। এমনকি, লকডাউনের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দে ভারতের উড়ানও তাঁরা চালিয়েছেন। আগামী দিনের ডিউটি চার্টেও তাঁদের নাম রয়েছে। এখন সংস্থা তাঁদের বসিয়ে দেওয়ার ফলে নতুন করে ডিউটি চার্টও বানাতে হবে।
পাইলটদের সংগঠনের অভিযোগ, পার্সোনেল বিভাগের কিছু কর্তার খেয়ালখুশির মতো ছাঁটাই প্রক্রিয়া চলছে। যেটা এয়ার ইন্ডিয়ার চাকরির শর্তের পরিপন্থী।