মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে আত্মঘাতী এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট সৃষ্টি। —ফাইল চিত্র।
মুম্বইয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট সৃষ্টি তুলির মৃত্যুরহস্যে নতুন মোড়। নতুন তথ্য হাতে পেয়েছে মুম্বই পুলিশ। মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগেই প্রেমিকের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছিলেন সৃষ্টি। তাঁর সঙ্গে হওয়া বেশ কিছু কথোপকথন যুবক মুছে ফেলেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই কথোপকথন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সৃষ্টির প্রেমিক আদিত্য পণ্ডিতকে।
গত সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার ২৫ বছরের তরুণী পাইলটের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে। তাঁর পরিবার এই আত্মহত্যার নেপথ্যে প্রেমিক আদিত্যের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করে। আদিত্য সে দিন মুম্বই ছেড়ে দিল্লিতে চলে যাচ্ছিলেন, জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রেমিকার ফোন পেয়ে তিনি আবার মুম্বই ফেরেন। কিন্তু ফ্ল্যাটে গিয়ে বন্ধ তালা খুলে প্রেমিকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
পুলিশ জানতে পেরেছে, কোনও কারণে যুগলের মধ্যে বচসা হয়েছিল। সেই কারণেই আদিত্য দিল্লি চলে যাচ্ছিলেন। সৃষ্টি তাঁকে আরও কিছু দিন থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে পাত্তা দেননি আদিত্য। এর পরেই ভিডিয়ো কল করে প্রেমিককে তিনি জানান, তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আদিত্য পুলিশকে জানিয়েছেন, আত্মহত্যার হুমকি পেয়ে তিনি মুম্বই ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। বার বার প্রেমিকাকে তিনি ফোন করেছিলেন। কিন্তু ফোনে পাওয়া যায়নি সৃষ্টিকে। তদন্তকারীদের মতে, প্রেমিকার সঙ্গে বেশ কিছু কথোপকথন ফোন থেকে মুছে দিয়েছেন আদিত্য। সেগুলি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আদিত্যের ফোন পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। ওই কথোপকথন উদ্ধার করা গেলে মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হতে পারে, দাবি তদন্তকারীদের।
সৃষ্টির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সেই রাতে মা এবং কাকিমার সঙ্গে ফোনে অন্তত ১৫ মিনিট কথা বলেছিলেন তিনি। তার কিছু ক্ষণ পরেই তাঁরা মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পান। ফোনে কথা বলার সময়ে তরুণী হাসিখুশি ছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর মা-কাকিমা। তাঁদের অভিযোগ, সৃষ্টির প্রেমিক তাঁকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক কাজ করতে বাধ্য করতেন। নিরামিষ খাবার খেতেও তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা।