প্রতীকী ছবি।
ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে টানাপড়েন ক্রমশ বাড়ছে। দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে টানাপড়েনের জেরে পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে। ফলে এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলি ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে ঘুরপথে যাচ্ছে বলে একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
ওই সূত্রের দাবি, যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয়, তার জন্য ঘুরপথে ইউরোপে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে যে ‘ছায়াযুদ্ধ’ শুরু হয়েছে, তার জেরে পশ্চিম এশিয়ায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। দু’দেশের হুমকি এবং পাল্টা হুমকির জেরে সম্ভাব্য যুদ্ধের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই আশঙ্কা করেই ইরানের আকাশসীমা এড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও ওই সূত্রের দাবি। ঘুরপথে যাওয়ার জন্য ভাড়ার হেরফের হবে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু প্রকাশ্যে আসেনি।
দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে ইজ়রায়েলের বিমানহানার পর থেকে দু’দেশের মধ্যে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়েছে। সেই হামলায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ইরানের দুই সেনাকর্তা ছিলেন। সেই হামলার পর থেকেই জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে ইরান। বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, যে কোনও মুহূর্তে ইজ়রায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান। ইতিমধ্যে ইজ়রায়েলকে সেই হুমকিও দিয়েছেন ইরানের শীর্ষনেতা আয়াতোলা আলি খোমেনেই। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, হামলাকারীদের উচিত শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন এবং তা দেওয়া হবেই। খোমেনেইয়ের এই হুঁশিয়ারির পর থেকেই চর্চা শুরু হয়েছে, তা হলে কি দুই দেশের এই সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ শুরু হবে?
শুক্রবারই আমেরিকার গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইজ়রায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি জারি করে ভারতীয়দের ইরান এবং ইজ়রায়েলে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই-ই নয়, ইরান-ইজ়রায়েলে ভারতীয়দের যেতে নিষেধ করার পাশাপাশি ওই দুই দেশে থাকা ভারতীয়দেরও সতর্ক করেছে বিদেশ মন্ত্রক। ইজ়রায়েল এবং ইরানে বসবাসরত ভারতীয়দের অবিলম্বে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতেও বলা হয়েছে।