প্রতীকী চিত্র
ওড়িশার সম্বলপুরে আমদাবাদ-পুরী এক্সপ্রেস শনিবার রাতে ইঞ্জিন, গার্ড, চালক, সিগন্যাল ছাড়াই পেরিয়ে যায় প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ। পরে ২২ কামরার ওই ট্রেনকে লাইনে পাথর ফেলে থামান রেলকর্মীরা।
শেষ পর্যন্ত যাত্রীরা নিরাপদ থাকলেও কী ঘটতে পারত তা ভেবে শিউরে উঠছেন রেলের কর্তারা। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ২ জন ইঞ্জিনচালক-সহ ৭ জনকে সাসপেন্ড করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ওড়িশার বোলাঙ্গির জেলার তিতলাগড় স্টেশনে। শনিবার রাত দশটা নাগাদ আমদাবাদ-পুরী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের অভিমুখ বদলানো হচ্ছিল। ইঞ্জিন বদলের সময়ে রেল কর্মীরা কামরার স্কিডিং ব্রেক ব্যবহার করেননি বলে অভিযোগ। কোচের সঙ্গে জোড়ার সময়ে ইঞ্জিনের আলতো ধাক্কায় কোচগুলি পিছনের দিকে গড়াতে শুরু করে। তিতলাগড়ে ঐ অংশের লাইন বেশ খানিকটা ঢালু থাকায় ট্রেনের চাকা লাইনের উপর দিয়ে গড়িয়ে চলতে শুরু করে।
ট্রেনে হাজারখানেকের বেশি যাত্রী প্রাথমিক ভাবে কিছু বুঝতে পারেননি। ঢালু লাইন বেয়ে সিগন্যাল ছাড়াই ট্রেন গড়াতে গড়াতে কালাহান্ডি জেলার কেসিংগায় পৌঁছে যায়। রেলের কিছু কর্মী লাইনে পাথর ফেলে ট্রেন থামান। তিতলাগড় থেকে ফের ইঞ্জিন পাঠিয়ে ট্রেনটিকে গন্তব্যে রওনা করা হয়।
রেল সূত্রে খবর, ইঞ্জিন বদলের সময়ে কামরার ব্রেক প্রয়োগ করা ছাড়াও ট্রেনের চাকায় বিশেষ ধরনের ব্লক বসানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কর্মীরা তা করেননি
বলে অভিযোগ।
রেলের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘ট্রেনে ইঞ্জিন এবং কামরার জন্য দুটি পৃথক ব্রেক থাকে। এ ক্ষেত্রে কামরার জন্যে ব্যবহৃত এ-৯ ব্রেক প্রয়োগ করা হয়নি বলেই মনে হচ্ছে। ইঞ্জিন বদলের সময়ে কোচের বাফারে ইঞ্জিনের আলতো ধাক্কাতেই ট্রেন গড়াতে শুরু করে।’’
পূর্ব উপকূল রেলের মুখপাত্র জানান, ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হচ্ছে। দু’জন ইঞ্জিনচালক ছাড়াও তিন জন মেরামতি দফতরের কর্মী এবং আরও দুই কর্মীকে সাসপেন্ড
করা হয়েছে।
অনেকের প্রশ্ন, রেলে মানুষের ভুল এড়াতে ব্যাপক ভাবে যন্ত্রের সাহায্য নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তাহলে এমন ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে না কেন?
দেখুন ভিডিয়ো