প্রতীকী ছবি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভারতে যে চরম আবহাওয়ার (অতি শীত, অতি উষ্ণ) সৃষ্টি হয়েছে, তার জেরে মার খাচ্ছে কৃষি উৎপাদন। দেশের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। বছরে কম করে ৯০০ থেকে ১ হাজার কোটি ডলার। শুধু তাই নয়, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার ভারত দ্রুত এই ভাবে চরম আবহাওয়ার দেশে বদলে যাওয়ায় ২০২০ সাল থেকে উদ্বেগজনক ভাবে মার খেতে শুরু করবে প্রধান প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন। আর তা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে যাবে এই শতাব্দীর শেষাশেষি। পশ্চিমবঙ্গে দারুণ ভাবে মার খাবে আলুর উৎপাদন।
হালে সংসদীয় কমিটিকে দেওয়া রিপোর্টে কৃষি মন্ত্রকের তরফে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আর কয়েক বছরের মধ্যে প্রধান প্রধান খাদ্যশস্যগুলির উৎপাদনে কিছুটা খামতি দেখা দিলেও তা ২১০০ সালের মধ্যেই কমে যাবে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে ভাবে দেশে গম, চাল, তৈলবীজ, ডাল, ফল আর আনাজপাতির উৎপাদন কমে যাবে, তা চাষিদের কপালের ভাঁজ আরও বাড়িয়ে দেবে। সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে চাষিদের বিভিন্ন ফসলের বীজ রোপনের সময় বদলাতে হবে। সার, কীটনাশকের ব্যবহারে বেশ কিছু রদবদল ঘটাতে হবে।
আরও পড়ুন- বড় নাশকতার ছক, গুয়াহাটি স্টেশনে ১০ কেজির বোমা
আরও পড়ুন- ইনফোসিসের সিইও-র পদ থেকে ইস্তফা বিশাল সিক্কার
কৃষি মন্ত্রকের ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে সবচেয়ে বেশি মার খাবে দেশের চাল উৎপাদন। এমনিতেই দেশে চালের উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। এমনকী, তা চিনের চেয়েও কম। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাষিদের বিভিন্ন ধানের চারা রোপনের সময়, মরসুম বদলাতে হবে। দেশের মানুষের চাহিদার তুলনায় তৈলবীজ, ডাল আর দুধের উৎপাদন কমে যাবে উদ্বেগজনক ভাবে। তার ফলে, ওই জিনিসগুলির আমদানির ওপরেই নির্ভর করে থাকতে হবে ভারতকে। ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে ভারতে খাদ্যশস্যের যা চাহিদা, আজ থেকে ১৩ বছর পরে ২০৩০ সালে তা আরও ৭ কোটি টন বেড়ে যাবে।
তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভারতে সয়াবিন, ছোলা, নারকেল ও বাদাম আর পঞ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে আলুর উৎপাদন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে কৃষি মন্ত্রকের রিপোর্টে।