নাতনিকে নিয়ে প্রথমবার জগন্নাথ দর্শনে এসেছিলেন টালিগঞ্জের প্রৌঢ়া শিবানী সাহা। কিন্তু শুক্রবার মন্দিরের প্রবেশদ্বারেই থমকে গেলেন। কলকাতার চেনা দৃশ্য পুরীর জগন্নাথ ধামের সামনেও! ওড়িয়া না জানলেও বুঝতে পারলেন ‘মানছি না’, ‘চলবে না’, ‘সিবিআই চাই’— এমন সব স্লোগান। তবে তাতে দর্শনার্থীদের মন্দিরে প্রবেশে অসুবিধে হচ্ছে না। কিন্তু বর্ষশেষের ভরা পুরীতে সব বাঙালি পর্যটক কৌতূহলী দৃষ্টি দিচ্ছেন জগন্নাথদেবের মন্দিরের সামনের পোস্টার-ব্যানারের দিকে।
পুরীর মন্দির সংস্কারে গঠিত কমিশন ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। গত বছর জুলাইয়ে রথযাত্রার শেষের দিকে এক দিন এক ভক্তকে বলভদ্রের রথ ‘তালধ্বজের’ চুড়োয় উঠতে দেখা যায়। কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তা করা যায় না। প্রশাসন বাধা দিতে গেলে কিছু সেবায়েতের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পুরীর ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ও সাংবাদিকদের সেবায়েতরা মারধর করেন বলে অভিযোগ।
এই বিতর্কের জেরে রাজ্যের আইনমন্ত্রী অরুণ সাহু ওড়িশা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিমলপ্রসাদ দাসের নেতৃত্বে মন্দির সংস্কারে এক সদস্যের কমিশন গঠন করেন। গত ২২ তারিখ কমিশনের হলফনামা গ্রহণ শেষ হয়েছে। তার পর থেকে বিক্ষোভ চলছে।