কয়েক দিন ধরেই দক্ষিণ অসমে বিএসএনএল পরিষেবা তলানিতে ঠেকেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, যখন-তখন লাইনে গণ্ডগোল। মোবাইলে কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে। ল্যান্ডলাইনেরও একই অবস্থা। বেশি ভোগান্তি ইন্টারনেটে। অধিকাংশ সময় সার্ভারে সংযোগ থাকে না। কখনও লাইন পাওয়া গেলেও স্পিড নেই। কাজ করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। অথচ বিল বাড়তে থাকে। বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে। কেউ কেউ আন্দোলনেরও হুমকি দিচ্ছে। গ্রাহক সুরক্ষা সমিতি বিএসএনএল কর্তাদের ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছে।
তাঁদের বক্তব্য, সমস্যাটা নতুন নয়। অনেকদিন থেকেই বিএসএনএল পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটছে। পরিস্থিতির কোনও উন্নতি নেই। অভিযোগ জানালেও কর্তৃপক্ষের গা-ছাড়া মনোভাব। এর পিছনে কোনও রহস্য কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ জানান তাঁরা।
গ্রাহক সুরক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লবকুমার গোস্বামী বলেন, ‘‘বেসরকারি সংস্থাগুলির মোবাইল বা ইন্টারনেট সংযোগে কোনও সমস্যা নেই। তার জেরে অনেকে বিএসএনএল ছেড়ে বেসরকারি সংস্থাগুলির দিকে ঝুঁকছে। এ ভাবে চলতে থাকলে সরকারি সংস্থাটির উপর মানুষের ভরসা থাকবে না।’’ বিএসএনএল-র শিলচর আঞ্চলিক কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার ডি সি টিকাদার অবশ্য ষড়যন্ত্র বা রহস্যের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি জানান, শিলঙে কেব্লে সমস্যা হওয়ায় দক্ষিণ অসমে পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটছে। মেরামতির কাজ চলছে। এরই মধ্যে অবস্থার অনেক উন্নতি ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।