বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করার কথাও রয়েছে কৃষিমন্ত্রীর। সেখানেই এই বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন তিনি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ফের আন্দোলনরত কৃষকদের বিক্ষোভ প্রত্যাহার করার আবেদন করবেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্রসিংহ তোমর। পাশাপাশি তিনি সরকারের সঙ্গে মিলিত ভাবে কাজ করার আবেদনও করবেন বলে শোনা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করার কথাও রয়েছে কৃষিমন্ত্রীর। সেখানেই এই বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন তিনি।
কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে বৃহস্পতিবার টুইটারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর লেখেন, ‘কৃষি আইন নিয়ে ছড়িয়ে পড়া ফেক নিউজ ও ভুল তথ্যে আপনারা বিশ্বাস করবেন না। নতুন কৃষি আইন পাশ হলে কোথাও মাণ্ডি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হবে না। আপনারা নতুন কৃষি আইন সম্পর্কে সত্যিটা জানুন। বুঝতে চেষ্টা করুন কেন এই সংস্কার করা হয়েছে।’
সরকার যাই বলুক কৃষকদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আন্দোলন আরও বড় হতে চলেছে। ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা মনজিত সিংহ বলেছেন, ‘‘সরকার চাইছে কৃষকদের আন্দোলনকে শক্তিহীন করে দিতে। কিন্তু ফল হচ্ছে উল্টো। আন্দোলনের ১৫ দিন পরেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিল্লির আন্দোলনে কৃষকরা যোগদান করছেন।’’
কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করেছেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘কৃষক আন্দোলন ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো বজায় রাখার আন্দোলন। এই আন্দোলন প্রমাণ করে, কেন সাধারণ মানুষের মত নিয়ে তবেই আইন তৈরি করা উচিত। সরকার ইচ্ছা মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সেই কারণেই দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে এই কৃষক আন্দোলনকে দেশের সাধারণ মানুষ এমন আন্তরিক ভাবে সমর্থন করছেন।’
আরও পড়ুন: নড্ডার কনভয়ে ইটবৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর, লাঠি চালাল পুলিশ
গতকালই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কৃষক নেতারা। সেই আলোচনাতেও কোনও রফা সূত্র বেরোয়নি। কৃষকরাও নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, কৃষি আইনের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ছাড়া তাঁরা আর কোনও প্রস্তাবই গ্রহণ করা হবে না।
আরও পড়ুন: জ্ঞান ফিরলেও সঙ্কটে বুদ্ধদেব, লড়াই চালাচ্ছে মেডিক্যাল বোর্ড