মমতা-অভিষেকের সভা শেষ হতেই তৃণমূলে ভাঙন মেঘালয়ে। ছবি: টুইটার
দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন মেঘালয়ে। আর এ দিনই তৃণমূল ছাড়লেন আর এক বিধায়ক। বুধবার মেঘালয় বিধানসভার স্পিকার মেটবাহ লিংডোর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক শিতলাং পালে। বিধানসভা সূত্রের খবর, তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন স্পিকার।
তবে শুধু তৃণমূল বিধায়ক নন, বুধবার বিধানসভায় গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন আরও চার বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি মন্ত্রীও। রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য রেনিংটন তোংখর, কংগ্রেসের বহিষ্কৃত বিধায়ক মায়রালবর্ন সইম ও পিটি সকমি এবং নির্দল বিধায়ক ল্যাম্বর মালগিয়াংয়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন স্পিকার। পদত্যাগ করা বিধায়কদের প্রত্যেকেই ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি (ইউডিপি)তে যোগ দিতে পারেন। ঘটনাচক্রে এই দলের প্রধান লিংডো বিধানসভার স্পিকার।
বিজেপি উত্তর-পূর্ব ভারতের অকংগ্রেসি দলগুলিকে নিয়ে যে নেডা জোট তৈরি করেছিল, ইউডিপি সেই জোটেরই শরিক। মাঝে ২০১৯ সালে নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপির সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে মেঘালয়ের শাসকজোট থেকে বেরিয়ে এলেও পরে আবার তারা শাসক জোটের শরিক হয়। এই বিধায়করা ইউডিপির হাত ধরে বিজেপি শিবিরেই ভিড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবারই মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এক দফায় নির্বাচন হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটিতে। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজনীতিতে দলবদলের ঘটনা খুব অস্বাভাবিক না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দলের একাধিক বিধায়ক বিপক্ষ শিবিরে যোগ দেওয়ায় খানিক চিন্তিত মেঘালয় তৃণমূল। তৃণমূলের ১২ বিধায়কের মধ্যে আগেই দল ছেড়েছিলেন ৩ জন। বুধবার সংখ্যাটা ৪ হল। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় এখন বিধায়ক রইলেই ৪২ জন। ইতিমধ্যেই মেঘালয়ে ৫২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আরও ৮টি আসনে শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম জানাতে পারে তারা। মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল সাংমাকে সামনে রেখেই এই নির্বাচনে লড়তে চলেছে তৃণমূল।
পদত্যাগ করা বিধায়ক শিতলাং পালে। ছবি: সংগৃহীত।