মানেকা গাঁধী। ছবি- টুইটার
চিকিৎসার নামে একটি পথ-কুকুরের উপর নৃশংস অত্যাচারের ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্কের আবহে দিল্লির সঞ্জয় গাঁধী পশু চিকিৎসা কেন্দ্র আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন পশু-অধিকার কর্মী তথা বিজেপি সাংসদ মানেকা গাঁধী। ওই ঘটনায় গুরুতর আঘাত পেয়ে কুকুরটির মৃত্যুও হয়। ভিডিয়োটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হতেই মানেকার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার পরই এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
টুইটারে একটি বিবৃতি জারি করে বিজেপি সাংসদ জানান, ‘সম্প্রতি একটি পথ-কুকুরকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল এই চিকিৎসা কেন্দ্রে। ব্যথার চোটে এমনিতেই প্রচণ্ড খিটখিটে হয়ে ছিল কুকুরটি। সেই অবস্থায় তার চিকিৎসা করতে যাওয়া পশু চিকিৎসককে কামড়ে দেয় সে। তার পরই ওই নারকীয় ঘটনা ঘটে।’
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কুকুরটির দুই পা ধরে দেওয়ালের দিকে জোরে ছুড়ে মারছেন এক কর্মী। কুকুরটির মুখে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করতেও দেখা গিয়েছে দুই ব্যক্তিকে।
বিবৃতিতে মানেকা গাঁধী বলেন, ‘ওই ভিডিয়োটি দেখার পর থেকে আমি নিজেই বিধ্বস্ত। গা গুলিয়ে উঠছে আমার। সঙ্গে সঙ্গেই ওই পশুচিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। ওই বিভাগের দায়িত্বে যে চিকিৎসক ছিলেন, তাঁকেও নোটিস ধরিয়ে এই চিকিৎসা কেন্দ্র ছাড়তে বলেছি। কিন্তু আমি জানি, এটুকু যথেষ্ট নয়।’
৪০ বছরের পুরনো এই পশু চিকিৎসা কেন্দ্র তার লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে করেন মানেকা। তাঁর কথায়, "হাসপাতালটিকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন আছে। বিশেষ করে কুকুরদের চিকিৎসা বিভাগে পরিকাঠামো বাড়াতে হবে। আর শুধু কর্মী সংখ্যা বাড়ালেই চলবে না। তাঁরা যাতে আরও সংবেদনশীল হন এই কাজে, সেই বিষয়টির দিকেও লক্ষ রাখা জরুরি।’’