Agasthyakoodam

শবরীমালা জয়ের পর কেরলের মহিলাদের চোখ এখন অগস্ত্য মুনির পাহাড়ে

প্রতি বছর মোট ৪ হাজার ১০০ জন সুযোগ পান এই পাহাড় চূড়ায় ওঠার।কিন্তু এতদিন এই পাহাড়ে ওঠার অনুমতি পেতেন শুধু পুরুষরা। অগস্ত্যকুদমে ওঠার বেসক্যাম্প আথিরামালার পর যেতে দেওয়া হত না কোনও মহিলাকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:১০
Share:

কেরলের অগস্ত্যমালায় অগস্ত্য মুনির মূর্তি। ছবি সংগৃহীত।

প্রবল বাধাকে অগ্রাহ্য করে কেরলের শবরীমালা মন্দিরে ২ জানুয়ারি ঢুকে পড়েন দু’জন মহিলা। এই প্রবেশের পরই শবরীমালা বিতর্কে লেখা হয় নতুন ইতিহাস। শবরীমালা জয়ের পর ফের নতুন ইতিহাস গড়ার পথে কেরলের মহিলারা। সেই ইতিহাস লেখা হবে, যখন তিরুঅনন্তপুরমেরনেইয়ার অভয়ারণ্যের অগস্ত্যকুদম পাহাড় চূড়ায় প্রথমবারে জন্য পা রাখবেন কোনও মহিলা।

Advertisement

কেরল ও তামিলনাড়ুর সীমান্তে নেইয়ার অভয়ারণ্যে রয়েছে অগস্ত্যকুদম পাহাড়। মালয়লাম ভাষায় এটিকে অগস্ত্যমালাও বলা হয়ে থাকে। এক হাজার ৮৬৮ মিটার উঁচু এই পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে অগস্ত্য মুনির মূর্তি। যদিও কোনও মন্দির এখানে নেই। কেরলের কানি সম্প্রদায়ের মানুষ অগস্ত্য মুনিকেই নিজেদের আরাধ্য দেবতা বলে মানেন।

প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারি থেকে অগস্ত্য মুনিরপুজোর উদ্দেশ্যে এই পাহাড়ে যাত্রা করেন প্রচুর মানুষ। পাহাড়ে ওঠার জন্য পেরোতে হয় ২৫.৫ কিলোমিটার পথ। এই ট্রেক চলে ৪১ দিনে ধরে। প্রতিদিন ১০০ জন করে ভক্ত রওনা দেন অগস্ত্যমালার উদ্দেশে। প্রতি বছর মোট ৪ হাজার ১০০ জন সুযোগ পান এই পাহাড় চূড়ায় ওঠার।কিন্তু এতদিন এই পাহাড়ে ওঠার অনুমতি পেতেন শুধু পুরুষরা। অগস্ত্যকুদমে ওঠার বেসক্যাম্প আথিরামালার পর যেতে দেওয়া হত না কোনও মহিলাকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কৌরবরা টেস্ট টিউব বেবি, রাবণের ছিল বিমান! এ বার দাবি অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের

দীর্ঘদিনের এই পরিস্থিতি এ বার বদলাতে চলেছে। এর সৌজন্যে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে কেরল হাইকোর্টের দেওয়া একটি রায়। সেখানে বলা হয়, এই ট্রেকের অনুমতির দেওয়ার ক্ষেত্রে লিঙ্গভেদ করা চলবে না। এই রায়ের পর গতকাল শনিবার থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু করে কেরল বন বিভাগ। আবেদন শুরু হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় সমস্ত বুকিং।

অগস্ত্যমালার পথে। ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।

তিরুঅনন্তপুরমের বন্যপ্রাণের ওয়ার্ডেন শাজি কুমার বলেছেন, ‘‘আবেদনগুলি প্রক্রিয়াকরণের পরই সঠিকভাবে বলা সম্ভব মোট কত জন মহিলা অগস্ত্যমালায় যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তবে মহিলাদের জন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে না। আর পাঁচ জনের মতোই কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে যেতে হবে তাদের।’’

অগস্ত্যকুদম ক্ষেত্র কানিক্কর ট্রাস্টের সভাপতি মোহনন ত্রিবেদি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা কানি সম্প্রদায়ের মানুষরা অগস্ত্য মুনির পুজো করি। বহুদিনের ঐতিহ্য ও প্রথা মেনেই আমাদের মহিলারা সেখানে যান না। কিন্তু আমরা হাইকোর্টের আদেশ মেনে চলব।’’

আবেদনকারীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা যাচাই করে তবেই ট্রেকের অনুমতি দেওয়া হয়। তাই কত জন মহিলাকে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হয় সেটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন: ভোটব্যাঙ্ক নন, কৃষকেরা অন্নদাতা, ফের ‘কল্পতরু’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement