অযোধ্যা থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে চাঁদখুরিতেই গড়ে তোলা হবে কৌশল্যার সুবিশাল মন্দির।
রামের পর এ বার তাঁর মা কৌশল্যার জন্য মন্দির নির্মাণের তোড়জোড়। তবে অযোধ্যায় নয়, তা নির্মাণ করা হবে ছত্তীসগঢ়ে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাসের তোড়জোড়ের মধ্যেই এ কথা ঘোষণা করলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
ভূপেশের দাবি, রামের মামাবাড়ি আসলে ছত্তীসগঢ়ে। নির্বাসনে থাকাকালীন তাঁদের রাজ্যে নাকি দীর্ঘ কাল কাটিয়েছেন ‘শ্রীরাম’। সেই সঙ্গে বাঘেলের আরও দাবি, রাইপুরের কাছে চাঁদখুরিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কৌশল্যা। ফলে অযোধ্যা থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে চাঁদখুরিতেই গড়ে তোলা হবে কৌশল্যার সুবিশাল মন্দির।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার আগে থেকেই অবশ্য ছত্তীসগঢ়ের চাঁদখুরিতে মাতা কৌশল্যার প্রাচীন মন্দির রয়েছে। তবে ভূপেশ বাঘেল জানিয়েছেন, আগামী অগস্ট মাসে চাঁদখুরিতে মাতা কৌশল্যার ওই মন্দির ঢেলে সাজা হবে। পূর্ননির্মাণ করা হলেও পূর্বেকার মন্দিরের মূল কাঠামো বজায় রাখা হবে। সেই সঙ্গে মন্দির সংলগ্ন চত্বরের সৌন্দর্যায়নও করা হবে। শুধুমাত্র সৌন্দর্যায়নের জন্যই ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে ছত্তীসগঢ় সরকারের। গোটা পরিকল্পনাই করা হয়েছে ধর্মীয় পর্যটনকে আকর্ষণ করার জন্য। ইতিমধ্যেই এই মন্দিরের রূপরেখা গড়ে তোলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বাঘেল।
আরও পড়ুন: মন্দির বাড়ছে কলেবরে, কাল থেকে শুরু পুজোপাঠ
প্রস্তাবিত প্রকল্পটি চূড়ান্ত হলে এই রকম দেখতে হবে, টুইট করে জানিয়েছেন ভূপেশ বাঘেল।
পর্যটকদের রাজ্যে টেনে আনতে ইতিমধ্যেই বিশাল কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে ছত্তীসগঢ়ে। এর মধ্যে রয়েছে, রাম বনগমন মার্গ-এর মতো ব্যয়বহুল প্রকল্প। শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, “দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের পর্যটনস্থল হিসাবে রাম বনগমন মার্গের নির্মাণ করছে রাজ্য সরকার।” ওই মার্গের পাশাপাশি চাঁদখুরির কৌশল্যা মন্দির নিয়েও তাঁর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন বাঘেল। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি চূড়ান্ত হলে তা কী রকম দেখতে হবে, সে ছবিও টুইট করেছেন তিনি। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় জলাশয়ের উপর সেতু নির্মাণের জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন বাঘেল। এ ছাড়া, সেখানে ধর্মশালা, শৌচালয়ও গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: কোভিডে মৃত উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী, অযোধ্যা সফর বাতিল শোকাহত যোগীর
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, চাঁদখুরি ছাড়াও রাম বনগমন মার্গের জন্য বস্তার, অম্বিকাপুর, সুকমা-সহ ছত্তীসগঢ়ের মোট ন’টি জায়গায় নির্মাণ করা হবে। ওই ন’টি কেন্দ্রে গোটা পরিকল্পনার জন্য ১৩৭.৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।
ছবি: ভূপেশ বাঘেলের টুইটার অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।