Squad military alliance

কোয়াডের পরে ‘স্কোয়াড’! দক্ষিণ চিন সাগরে ড্রাগনকে রুখতে আমেরিকার নতুন সামরিক জোটে ভারত?

দক্ষিণ চিন সাগরের দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলির সঙ্গে চিনের বিরোধ রয়েছে। এ বার সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চায় আমেরিকা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫ ১০:৪০
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

চিনকে চাপে রাখার জন্য ‘কোয়াড’ (চতুর্দেশীয় অক্ষ)-এর পাশাপাশি আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ‘স্কোয়াড’-এও নয়াদিল্লিকে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপিন্সকে নিয়ে গঠিত আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ওই সামরিক জোটে ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি।

Advertisement

বস্তুত, ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের তরফে এ বিষয়ে নয়াদিল্লির কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছেছে বলে সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ফিলিপিন্স সেনাপ্রধান জেনারেল রোমিও এস ব্রাউনার নয়াদিল্লিতে একটি আলোচনাসভায় যোগ দিতে এসে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন। দক্ষিণ চিন সাগরে লালফৌজের দাপট প্রতিরোধ করতে এবং তাইওয়ানের নিরাপত্তার স্বার্থে গত বছর হাওয়াইয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘স্কোয়াড’ গঠন করেছে পেন্টাগন।

দক্ষিণ চিন সাগরের দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলির সঙ্গে চিনের বিরোধ রয়েছে। এ বার সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চায় আমেরিকা। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেজিংয়ের আধিপত্য রুখতে আমেরিকার নেতৃত্বেই ২০০৭ সালে ‘কোয়াড’ (কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ) গঠিত হয়েছিল। ওই সামরিক জোটের সদস্য ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানও।

Advertisement

একাধিক বার ওই জোটের সামরিক মহড়ায় ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তি প্রদর্শন করেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু ‘স্কোয়াড’ সরাসরি চিনের প্রভাব বলয়ের অন্তর্গত। ফলে চিনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত। তবে জেনারেল ব্রাউনার তাঁদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের খবরদারি রুখতে আমরা আগামী দিনে ‘স্কোয়াড’-কে প্রসারিত করতে চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement