আকাঙ্খা শর্মা
আমেরিকায় কাজ পেয়েছেন বলে সাত মাস আগে বাড়ি ছেড়েছিলেন বাঁকুড়ার আকাঙ্খা শর্মা। তার পর থেকে বাড়ির সঙ্গে আর তেমন যোগাযোগ ছিল না। বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালের সাকেতনগরের একটি বাড়ির মেঝে খুড়ে তাঁরই পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বাড়িতেই প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন তিনি। খুনের অভিযোগে প্রেমিক উদয় দাসকে গ্রেফতার করেছে ভোপাল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর খানেক আগে ফেসবুকে উদয়ের সঙ্গে পরিচয় আকাঙ্খার। তার পর তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। বাড়িতে অবশ্য উদয়ের কথা কিছুই জানাননি আকাঙ্খা। বাড়িতে জানান যে তিনি আমেরিকায় একটি কাজের সুযোগ পেয়েছেন। সেখানেই চলে যাবেন। এই বলে বাঁকুড়ায় বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু আমেরিকায় যাওয়ার বদলে তিনি উদয়ের সঙ্গে ভোপালের সাকেতনগরে থাকতে শুরু করেন। তার পর থেকে বাড়ির সঙ্গে তেমন কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁর। মাঝে মধ্যে মোবাইল কথা হত। কিন্তু তিনি কোথায় আছেন বা কেমন আছেন তা জানতে চাইলেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে ফোন কেটে দিতেন। মাস খানেক হল মোবাইল ফোনেও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এর পরই সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ জানান তাঁর বাবা। আকাঙ্খার মোবাইলের শেষ টাওয়ার লোকেশনে ভোপালের ঠিকানা দেখা যায়। সেই সূত্র ধরেই পুলিশের একটা দল সাকেতনগরে উদয়ের বাড়িতে পৌঁছে যায়। উদয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই খুনের কথা স্বীকার করে নেন তিনি।
পুলিশকে উদয় জানান, আকাঙ্খা ভোপাল আসার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি লেগে থাকত। ঘটনার দিনও তাই হয়। ওই দিন ঝামেলা এতটাই বেড়ে যায় যে, আকাঙ্খাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ফেলেন উদয়। তারপর মৃতদেহটিকে লুকোতে একটি টিনের বাক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেন। পরে যে ঘরে তাঁরা থাকতেন তার মেঝে খুড়ে মৃতদেহ সমেত বাক্সটি রেখে তার উপরে সিমেন্ট করে দেন উদয়।
পুলিশ জানায়, সারা রাত ধরে এই কাজটি একাই করেন উদয়। মেঝেতে এতটাই গভীর গর্ত করে দেহ পোঁতা হয়েছিল যে, তা খুঁড়ে বের করতে পুরো তিন ঘণ্টা সময় লাগে পুলিশের। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হতে পারে: পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি রাজনাথের