জানুয়ারিতে ভারত-পাকিস্তানের বিদেশসচিব স্তরের বৈঠকের পরেই ফের আলোচনায় বসতে পারেন নরেন্দ্র মোদী ও নওয়াজ শরিফ। ১৫ জানুয়ারি ইসলামাবাদে বিদেশসচিব স্তরের বৈঠক হবে। তার পর সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে ২০-২৩ জানুয়ারি ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম’-এ দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীই যাবেন বলে ঠিক রয়েছে। সে ক্ষেত্রে দাভোসের সম্মেলনের ফাঁকে ফের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে।
মোদী যখন ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন, তখন তাঁর দলেরই নেতা রাম মাধবের মন্তব্য নিয়ে আজ বিতর্ক বেধেছে। বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান- বাংলাদেশ ফের মিলে ‘অখণ্ড ভারত’ তৈরি হতে পারে। তবে তা হবে জনমতের ভিত্তিতেই। রাম মাধব যা বলেছেন, তা আসলে আরএসএস-এর পুরনো অবস্থান। রাম মাধব আরএসএস থেকেই বিজেপিতে এসেছেন। কিন্তু মোদী যখন পাকিস্তানে গিয়ে বৈঠক করছেন, তখন তাঁর দলের নেতার এই মন্তব্যে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। অভিযোগ, এতে মোদীর আলোচনাই ধাক্কা খাবে। লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের মতো জঙ্গিরা প্রচার চালাবে ভারতের লক্ষ্য পাকিস্তানকে কব্জা করা।
অস্বস্তিতে পড়ে আজ বিজেপি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। দলের মুখপাত্র এম জে আকবরের দাবি, সরকার এবং দলের অবস্থান স্পষ্ট যে ভারত ও পাকিস্তান দু’টি সার্বভৌম রাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘‘১৯৯৯-তে লাহৌরে গিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন যে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবেই ভারত-পাকিস্তান আলোচনা করে। সেটাই বাস্তব।’’ আকবর জানান, রাম মাধবের নিজের মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু সরকারি অবস্থান নতুন করে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। এক বার মোদী সরকারকেই বিদেশসচিব স্তরের বৈঠক বাতিল করতে হয়েছে। এ বার যাতে ফের বাধা না আসে, তা সুনিশ্চিত করতে চাইছে বিজেপি।
ইসলামাবাদে এ দিন পাকিস্তানের বিদেশ নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ জানিয়েছেন, বিদেশসচিব স্তরের বৈঠকের লক্ষ্য নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরানো। তবে এই বৈঠক থেকেই সমস্ত সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে, এমনটা আশা করা ঠিক হবে না বলেও জানিয়েছেন সরতাজ।