ফাইল চিত্র।
তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের অনেক বেশি সংখ্যায় কোভিড সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ইতিমধ্যেই দুশ্চিন্তার কারণ। কিন্তু তারই মধ্যে শিশুরোগ বিশেজ্ঞদের সংগঠন ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্সের আশ্বাস, সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকলেও, তাতে শিশুদের অন্তত গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার সম্ভাবনা কম। তাদের বক্তব্য, দেশে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় যে শিশু ও অল্পবয়সিরা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের অধিকাংশেরই বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়নি। ওই শিশুরা অন্যদের সংক্রমিত করলেও, নিজেরা সুস্থ হয়ে গিয়েছে দ্রুত।
সংগঠনের মতে, অন্তত দু’টি বিষয় শিশু এবং কমবয়সিদের (১৮ বছরের কম) পক্ষে রয়েছে। প্রথমত, সাধারণ ভাবে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনায় বেশি শক্তিশালী। দ্বিতীয়ত, তাদের অল্প সংখ্যক কেমিক্যাল রিসেপ্টর থাকায় শরীরে ভাইরাসের নিয়ন্ত্রিত প্রবেশ ঘটে। তাই সংক্রমিত হওয়ার পরেও এদের অধিকাংশ জন উপসর্গহীন। সংক্রমণ ছড়ালেও, নিজেরা দ্রুত সুস্থ হয়। বিবৃতিতে দাবি, মূলত এই কারণে কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাক্কায় অধিকাংশ শিশু বাড়িতেই সুস্থ হয়ে গিয়েছে। খুব কম সংখ্যককেই ভর্তি করতে হয়েছে আইসিউইউ-তে।
যদিও ক্রমাগত চরিত্র পাল্টে চলেছে করোনাভাইরাস। সেই সূত্রে আগামী দিনে শিশুদের ক্ষেত্রে ওই ভাইরাস বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে কি না, তার উপরে নজর রাখায় জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
এ বছরের শেষ থেকে আগামী বছরের গোড়ায় দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। যাতে শিশু ও ১৮ বছরের নীচে থাকা কিশোর-কিশোরীদের বিপুল সংখ্যায় সংক্রমিত হওয়ার বেশি প্রবল বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। সেই সূত্রেই শিশু চিকিৎসক সংগঠনের দাবি, দ্বিতীয় ধাক্কাতেও বড় সংখ্যক শিশু ও অল্প বয়সিরা সংক্রমিত হয়েছিল। কিন্তু বড় সমস্যা অধিকাংশের হয়নি। অন্তত বড়দের তুলনায় তা অনেক কম। তাই তৃতীয় ধাক্কা নিয়েও অভিভাবকদের চিন্তা করতে বারণ করছেন তাঁরা।
এ দিকে, আগামী মাস থেকে শিশুদের উপরে নিজেদের প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত বায়োটেক। বিশ্ব জুড়ে এই পথে হাঁটছে আরও কয়েকটি প্রতিষেধক নির্মাতা। শিশু চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ছোটদের মধ্যে সংক্রমণ রুখতে টিকা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।