সংগৃহীত চিত্র।
বিশ্বের অন্য দেশগুলি যেখানে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে একযোগে লড়ছে, একে অন্যকে সাহায্য করছে, সেখানে চিন এই পরিস্থিতিতে মুনাফা অর্জনের জন্য বেছে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিনের সংস্থাগুলি বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম বাড়িয়েছে। এছাড়া তারা এখন কোভিডের চিকিৎসায় কাজে লাগে, এমন নিম্নমানের সরঞ্জাম ভারতে পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ। তারা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তৈরিতে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট উপাদানগুলি পরিবর্তন এনেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। মেশিনের গুণমানের সঙ্গে আপস করেছে বলেও অভিযোগ। যা ভারতে চিকিৎসা পরিষেবায় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৫ লিটার ও ১০ লিটারের অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের দাম চিনের বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিভিন্ন। এছাড়াও গত সপ্তাহে কনসেনট্রেটরের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলি। যদিও বেজিংয়ের দাবি, তারা সব কিছুই করছে মানবিক প্রচেষ্টা থেকে। ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতও এই কথাই শুনিয়েছেন। তবে বাস্তব বলছে, ৩০ এপ্রিল যে জিনিসের যে দাম ছিল, সেই দাম ১২ মে নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হয়েছে ১০০ ডলারেরও বেশি।
করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কেন্দ্রকে সাহায্য করছে। তারা নানা চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনছে চিন থেকে। আমেরিতকা-ভারত স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরাম কোভিড ত্রাণ সহায়তার অংশ হিসাবে ভারতে ১ লক্ষ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাঠাবে বলেছে। যাদের বেশিরভাগ সরঞ্জামই চিন থেকে কেনা হচ্ছে। ত্রাণের কাজে সরঞ্জাম কেনা হলেও চিন এতে কোনও ছাড় দিচ্ছে না। এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, সীমিত সরবরাহের কারণে দাম বাড়ছে। পরিস্থিতির কারণে অনেক ক্রেতাই বেশি দামের প্রস্তাব দিচ্ছে। তাতে কাঁচামাল সরবরাহ করে এমন সংস্থা ও কারখানাগুলি বেশি আয় করছে।